রাত ৯টায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট নং- BA-144 যোগে দিল্লি যাওয়ার জন্যে অফিসের জরুরী কাজগুলো সেরে প্রত্যেকের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। বাসায় পৌছে (কল্যাণপুর) তাড়াহুড়ো করে শেভ করলাম। জুতো কালি করলাম। লতা ভাই, কবির, সাচ্চু, রাশেদ ও আসাদ ভাইকে নিয়ে একটা গ্রুপ ফটো তুললাম। এরি মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচটা বেজে গেল। ৭টার মধ্যে এয়ারপোর্টে পৌঁছতে হবে। কখনো দেশের বাইরে যাইনি। বিমানেও কখনো উঠিনি।
আন্তর্জাতিক বিভাগের জাহেদ ভাই আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিমান বন্দরের আনুষ্ঠানিকতার কথা। সেগুলো ধারাবাহিকভাবে কাগজে লিখে নিয়ে মুখস্থ করার চেষ্টা করলাম। বাড়ি থেকে লতা ভাই, কবির, সাচ্চু ও আসাদ এলো এয়ারপোর্টে। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। ঢাকায় এতদিন থাকি অথচ এ পর্যন্ত এই এয়ারপোর্ট কেবল দূর থেকেই দেখে এসেছি। প্যাসেঞ্জার ছাড়া কেউ লবিতে উঠতে পারবে না এমন অজুহাতে নিরাপত্তা রক্ষীরা ওদের কাউকেই আসতে দিল না। আমি বেবীট্যাক্সি নিয়ে সোজা লবিতে চলে এলাম। দেখলাম ট্রলি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুলি ধরনের কিছু মানুষ। অগত্যা তারাই ব্যাগ টেনে ট্রলিতে তুললো।