অধরা জাহান
১৯৯৩ সালের ১০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার ওয়াই গ্রামে। জন্মসূত্রেই সুশীল সম্ভ্রান্ত পরিবারের তিনি। দাদা ছিলেন ব্রিটিশ চেয়ারম্যান। বাবা হায়দার জাহান খান ছিলেন সরকারি চাকুরীজীবি। মা আঞ্জুমান হায়দার একজন গৃহিণী। তাঁরা তিন বোন।
বাবা মারা যাবার পর জীবনের নানাবিধ চড়াই-উৎরাই'র মধ্য থেকে প্রাণীত হয়ে অধরা জাহান হয়ে উঠেন একজন শিল্প শ্রমিক। নতুন কুঁড়ির মধ্য দিয়ে শিল্প সাহিত্যের অঙ্গনে পদার্পন ২০০৪ সালে। প্রথমেই আবৃত্তি, অভিনয়ে ছিলেন-এরপর দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সফল একজন উপস্থাপিকা হিসেবে কাজ করেন তিনি। থিয়েটারেও কাজ করেছেন প্রায় এক দশক সময়। সংগীতের জায়গায় নারী গীতিকবি নেই বললেই চলে-অধরা জাহান বাংলাদেশ গীতিকবি সংঘে তাঁর প্রজন্মের একমাত্র প্রথম নারী গীতিকবিও। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত একজন গীতিকবি তিনি।
সাহিতো প্রেম ছিলো একেবারে ছোট্ট বেলা থেকেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে প্রতিনিয়ত জীবনকে খুঁজে পান তিনি। রবী-প্রেম থেকেই মূলত সাহিত্যের সারথি হয়ে উঠেন একটু একটু করে। এছাড়াও জীবনানন্দ দাস, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম, মহাশ্বেতা দেবীকেও প্রতিনিয়তই ধারণ করেন।
বেসরকারি বিশ্বাবিদ্যালয় শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন আইন নিয়ে। অধরা জাহান মনে করেন সমাজ পরিবর্তনের একমাত্র হাতিয়ার হলো কলম এবং আইন। তাই লেখালেখির পাশাপাশি ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করতে চান একজন আইনজীবী হিসেবে। 'ল শেষ করে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য লন্ডনে যাবারও ইচ্ছে রয়েছে।
নোনা শরীর তাঁর তৃতীয় উপন্যাস এবং পঞ্চম বই।
অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে-
কাব্যগ্রন্থ-নীল পেয়ালার বিষ, এবার তবে থাক, উপন্যাস-কাগজের পুরুষ এবং মুহূর্তরা জানে।