Sort

Reset Sort

Filter

Reset Filter

By Categories

By Publishers

Price

Languages

Discount

Ratings

Shaykh Abdul Aziz ibne Baz (Rah.) books

followers

শায়েখ আব্দুল আজিজ ইবনে বায (রহ.)

আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ ইবনে বায (আরবি: عبد العزيز بن باز; জন্মঃ ২১ নভেম্বর ১৯১২[৩] – মৃত্যুঃ ১৩ মে ১৯৯৯) ছিলেন সৌদি আরবের বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত এবং সালাফি মতাদর্শের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। ১৯৯৩ সাল থেকে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সৌদি আরবের প্রধান মুফতির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বিন বায (রাহঃ)সোভিয়েত বিরোধী জিহাদের সময় একটি ফতোয়া প্রদান করেছিলেন। সেই ফতোয়ায় বলা হয় প্রত্যেকের সম্পদের কর যুদ্ধক্ষেত্রে মুজাহিদিনদের সমর্থনের জন্য দিতে হবে।[৪] আব্দুল্লাহ আযযামের "মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষা" নামক ফতোয়ায় বিন বাযের অনুমোদন সোভিয়েত বিরোধী জিহাদে অংশগ্রহণ করার আহবানকে প্রচন্ড প্রভাবিত করেছিলো। তখন এটা বলা হত যে, আধুনিক যুগে একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপর কোন রাষ্ট্রের এটাই প্রথম অফিসিয়ালি যুদ্ধের আহবান।[৫] ইবনে বায (রাহঃ) এর অনেক মতামত ও বিধি-বিধান সৌদি আরবের ভেতর এবং বাহিরে বিতর্কিত হয়েছিল। বিশেষ করে সৃষ্টিতত্ত্ব, নারী অধিকার, অসলো চুক্তিতে সৌদি আরবের সমর্থন এবং মক্কা ও মদীনার দুই পবিত্র মসজিদে অমুসলিম সৈন্যদের অবস্থান (গাল্ফ যুদ্ধের আগে ও পরে) ইত্যাদি সম্পর্কিত তার ফতোয়া প্রচন্ড বিতর্কের জন্ম দেয়। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র নীতি এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সৌদি জোটে সমর্থনের জন্য ওসামা বিন লাদেন বিন বাযের প্রচন্ড নিন্দা করতেন। ইবনে বায (রাহঃ) ১৯১২ সালে হিজরী জ্বিলহজ্জ মাসে সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পরিবার ইসলাম ধর্ম পালনের জন্য বিখ্যাত ছিলো। তিন বছর বয়সে বিন বায তার বাবাকে হারান। তেরো বছর বয়সে তিনি তার ভাইদের সাথে বাজারে গিয়ে কাপড় বিক্রি করতেন। একই সাথে তিনি কুরআন, হাদিস, ফিকহ এবং তাফসীরের ওপর জ্ঞানার্জন শুরু করেন।[৬] তার শিক্ষক ছিলেন মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আল আশ-শেখ। [৭] ১৯২৭ সালে যখন তার বয়স মাত্র ষোল বছর, তখন তার চোখে একটি গুরুতর সংক্রমণ হয় এবং তিনি তার দৃষ্টিশক্তি হারানো শুরু করেন। বিশ বছর বয়সে তিনি সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে একদম অন্ধ হয়ে যান।[৮][৯] বৃহস্পতিবার সকালে, ১৩ মে ১৯৯৯ ইবনে বায (রাহ) ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। মক্কার আল আদিল কবরস্থানে তাকে কবর দেওয়া হয়।[১৮] বাদশাহ ফাহাদ একটি ডিক্রি জারির মাধ্যমে বিন বাযের (রাহ)স্থলে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে আব্দুল আজিজ ইবনে আব্দুল্লাহ আল আশ শেখ কে নিয়োগ প্রদান করেন।[১৯] সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে তার কর্মজীবনে সৌদি ক্ষমতাসীন পরিবারের শাসনকে বৈধতা দিতে এবং সালাফি আদর্শের আলোকে মুসলিমদের সংস্কারের জন্য চেষ্টা করেছেন। রাজবংশকে সমর্থন করার জন্য অনেকে তার সমালোচনাও করেছে। সালাফি আন্দোলনে তার প্রভাব ছিল অনেক। বর্তমানে সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকার বিশিষ্ট বিচারক ও ধর্মীয় পণ্ডিতরা ইবনে বাযের সাবেক ছাত্র।

শায়েখ আব্দুল আজিজ ইবনে বায (রহ.) এর বই সমূহ

(Showing 1 to 34 of 34 items)

Recently Viewed