বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম ১৯৫০ সালের ৪ জানুয়ারি দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহিগোবিন্দ গ্রামের সেরাজ পাটোয়ারি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম সামছুল হক ফেনী শহরের একজন বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। মাতা মরহুমা ফয়েজুন নেসা ছিলেন গৃহিণী।
ছয় ভাই তিন বোনের মাঝে আবদুল হালিম ছিলেন পিতা-মাতার তৃতীয় সন্তান। বড় ভাই আবদুল মকিম একাত্তরে কুমিল্লা অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর একজন সংগঠক ছিলেন। ছোট ভাই আবুল হাশেম জার্মানপ্রবাসী ব্যবসায়ী। ছোট ভাই আবুল খায়ের খালেদ যুদ্ধ চলাকালে যৌথ গেরিলা বাহিনীর ফেনী অঞ্চলের সংগঠক ছিলেন। আরেক ছোট ভাই আবদুল মান্নান কৃষিজ পণ্য উৎপাদন ও বিপণন বাণিজ্যে জড়িত। সর্বকনিষ্ঠ ভাই আবদুল লতিফ জনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সদস্য। বড় বোন নুরজাদা বেগম, ছোট বোন নুর পেয়ারা বেগম ও ফেরদৌস আরা স্বামী-সন্তান নিয়ে স্ব স্ব সংসারে আছেন।
আবদুল হালিম দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নাজমা শামীমের সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হলেও ১৯৮৩ সালে তাঁর স্ত্রী বিয়োগ ঘটে। পরে জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দুই ছেলে সাজ্জাতুল হাসান ও সুলতান মাহমুদ কুয়েতপ্রবাসী। দুই মেয়ের মাঝে দিলরুবা আক্তার ফেনী ডেফোডিল স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক ও ছোট মেয়ে রেহানা পারভীন ফেনী ল কলেজে অধ্যয়নরত। দুজনই স্বামী-সন্তান নিয়ে ফেনীতে বসবাস করছেন।
আবদুল হালিম ফেনী সদরের পাঁচগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ফেনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন। বিভিন্ন সময় নানা পণ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার হিসেবে ব্যবসা করেন ও পরে ফার্মেসি ব্যবসায় যুক্ত হন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি একজন যুদ্ধাহত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে তিনি বারাহিগোবিন্দ গ্রামের বাড়িতে অবসর জীবন যাপন করছেন।