* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
শ্রেষ্ঠ রম্যরচনা
(কিছু অংশ)
এরকম বছরে এক-আধবার ঘটেই। খুব ঘাবড়াবার কিছু নেই, প্রায় অভ্যাস হয়ে গেছে। কোনও না কোনও কারণে দাদা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তারপরে একদিন একা একাই ফিরে আসে, 'ফুটপাথে থাকা যায় না, দিনের বেলায় জুতো পালিশ করে সেখানে, রাত্তিরে ঘুমোলে মনে হয় সারা শরীরটা কে যেন ব্রাউন রঙের জুতোর কালি দিয়ে পালিশ করছে। ভীষণ অসুবিধে, ফুটপাথে কী থাকা যায়, ভিখিরিরা ঘুম থেকে ধাক্কা দিয়ে তুলে ভিক্ষা চায়।' ফিরে এসে এইসব উলটোপালটা কথা বলে। যেন আমরাই তাকে ফুটপাথে বসবাস করতে পাঠিয়েছিলাম।
তবু একটা চিন্তা হয়,— কোথায় গেল, কী করবে? চায়ের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। এতক্ষণ নিশ্চয় জুড়িয়ে বরফ হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি নিজের ঘরে ফিরে আসি। এসে যা চোখে পড়ল গা জ্বলে যায়। সেই বাদামি রঙের পায়রা দুটো চায়ের পেয়ালা থেকে চুকচুক করে চা খাচ্ছে। মাথা গরম হয়ে গেল। দেওয়াল থেকে ব্যাডমিন্টনের র্যাকেটটা তুলে ছুঁড়ে মারলাম। দিদিমার দেওয়া জাপানি পাম গাছের নীচে নদীতে নৌকো, পাখি এইসব আঁকা আমাদের বড়ো শখের কাচের পেয়ালা দুটো চুরমার হয়ে গেল। এতদিন যত্ন করে রাখা শিয়ালকোটের র্যাকেটটা দুখানা হয়ে গেল, রাঙাকাকা এনে দিয়েছিল, এখন আর এসব র্যাকেট পাওয়া যায় না। কিন্তু পায়রা দুটোর কিছুই হয়নি। তারা নিশ্চিন্তে উড়ে গিয়ে পাশে বাড়ির কার্নিশে বসে বকম বকম করতে লাগল।
Report incorrect information