Category:পশ্চিমবঙ্গের বই: রহস্য ও গোয়েন্দা
বইটি বিদেশি সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে।
ভর বিকেলেই অন্ধকার নেমেছিল। মােষের মতাে রাগী মেঘগুলাে ছুটে আসছিল আকাশের সব কোণ থেকে, ধাক্কা খাচ্ছিল এ-ওব সঙ্গে। তখনই ছিটকে উঠছিল আলাে, গড়িয়ে আসছিল শব্দ। হাওয়ারা যেখান থেকে জন্মায় তার মুখটাকে কেউ বন্ধ করে রেখেছিল বলেই হয়তাে গাছগুলাে সিঁটিয়ে দাড়িয়ে ছিল। যে কোনও মুহূর্তে মেঘগুলাে গলে গিয়ে চরাচর ভাসিয়ে দেবে। আধাপাহাড়ি ছােট্ট স্টেশনে নেমে অর্জুন দেখল, কোথাও মানুষ নেই। একজন স্টেশনমাস্টার, যিনি টিকিট বিক্রেতা আবার পতাকাও নাড়েন, ট্রেন চলে গেলে দৌড়ে ঢুকে পড়েন তার ঘরে। যে ট্রেনে অর্জুন এসেছিল তার কামরায় গােটাপাঁচেক মানুষ ছিল, যার চারজন চলে গিয়েছে ট্রেনের সঙ্গে। জংশন স্টেশনে মেল ট্রেন থেকে নেমে দুপুরবেলায় ওই লােকাল ট্রেনে উঠেছিল সে। চিঠিতে সেরকমই নির্দেশ ছিল। এই পথে সারাদিনে দুটো ট্রেন যায়, ফিরে আসে। অর্জুন মােবাইলে বহুবার চেষ্টা করেছে পত্রলেখককে ধরতে, সব সময় শুনতে হয়েছে ‘আউট অফ রেঞ্জ। শেষ পর্যন্ত ভেবেছে, স্টেশনে নেমে একটা গাড়ি ভাড়া করে নিজেই পৌঁছে যাবে ভদ্রলােকের ঠিকানায়। চিঠিতে ভদ্রলােক লিখেছিলেন, ‘যতটা সত্বর সম্ভব চলে আসুন!’
Report incorrect information