ঘটনা যখন সংবাদপত্রে শিরোনামা নিয়ে খবরের মর্যাদায় স্নাতকোত্তর হয়, তখন তার পেছনের ইতিহাস সম্মুখের প্রাঙ্গণে ছায়াপাত করে। একটা ঘটনার সঙ্গে বহু ঘটনা জটাজালে জড়িত হ'য়ে কাহিনীর রূপ ধারণ করার স্পর্ধা রাখে। শংকর চাটুজ্যের বাড়িতে একদিন একটা ঘটনা ঘটল। তাঁর বিহারি ড্রাইভার রতনলালকে নিয়ে ঘটনার প্রথম প্রকাশ। রতনলাল দেড় বছর শংকর চাটুজ্যের ম্যান-ফ্রাইডে, অর্থাৎ সব রকম কাজ-কর্ম ক'রে থাকে। চালাক-চতুর যুবক, দেখলে বছর চব্বিশ বয়স মনে হয়, আসলে বয়স একটু বেশি, আঠাশ।
শংকর চাটুজ্যেকে রতনলাল গাড়ি চালিয়ে সকাল বেলা আপিসে পৌঁছে দেয়, বিকেলে বাড়ি নিয়ে আসে। সপত্নী শংকর চাটুজ্যে যখন সন্ধ্যাবেলা অথবা রবিবারের সকালে আত্মীয়-বন্ধুদের গৃহে বেড়াতে যান, তখনও ড্রাইভ করে রতনলাল। ড্রাইভার ছাড়া অন্য ভূমিকাও তার আছে শংকর চাটুজ্যের সংসারে। বাজার ক'রে দেয়, সুপ্রভা চ্যাটার্জিকে রান্নায় সাহায্য করে, শংকর চাটুজ্যের নিজস্ব কাজ-কর্মও করে থাকে দিনের পর দিন। এক কথায়, রতনলাল শংকর চাটুজ্যে এবং সুপ্রভা চাটার্জির দুটি-মানুষের সংসারে অপরিহার্য তৃতীয় ব্যক্তি।