জীবনের শুরু থেকেই বাবা নামের এক বিশাল বটবৃক্ষের ছায়ায় নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তার মধ্যে বেড়ে ওঠে সন্তানেরা। বাবা কখনও শাসন, কখনও ভাষণ, কখনও পরম আসন তৈরি করেন সন্তানের জন্য। এক অবিস্মরণীয় পরিবেশ উপহার দেন তিনি তার উত্তরাধিকারকে। সন্তান বাবার আদর্শ ধরে এগিয়ে যায় সামনের পৃথিবীর দিকে। বাবার পদাংক অনুসরণ করেই সন্তান রচনা করে তার ভবিষ্যৎ। বাবা কখনও গম্ভীর। কখনও বন্ধু। কখনও খেলার সাথী। কখনও উপদেশদাতা।
কখনও কঠোর এক পাহাড়ের মতো স্থির। তার প্রতিটি রূপই সন্তানের অনাগত ভবিষ্যতের কল্যাণের জন্য। যে সন্তান বাবাকে বুঝতে পারে সে হয় বাবার প্রিয় উত্তরসুরী- যোগ্য উত্তর প্রজন্ম। সন্তান হলেও বাবার যোগ্য উত্তরসুরী হওয়া সহজ নয়। সন্তান যখন বুঝতে পারে বাবা তাকে পথ দেখাচ্ছে, সে পথ সুন্দর ও সত্য, তখনই বাবা এক শ্বাশ্বত আলোকবর্তিকা। মহান, শ্রদ্ধেয়, প্রিয়, গভীর এক অনুভূতিপ্রবণ শব্দ এই বাবা। সন্তান এবং পরিবারের সবার কাছে বাবা একটি আশ্রয়ের নাম। একটি নির্ভরতার প্রতীক। বাবার ত্যাগ, অবদান সকল তুলনার উর্ধ্বে।