দ্য কারেজ টু বি ডিসলাইকড ছিল এক ধরনের মানচিত্রের মতো। মানুষের কাছে অ্যাডলারীয় মনোবিজ্ঞানের অস্তিত্বের কথা জানানো এবং অ্যাডলারের মূল ধারনাগুলোর সারসংক্ষেপ দেওয়া—এই দুটো উদ্দেশ্য নিয়ে কয়েক বছর ধরে আমরা সেই বিশাল মানচিত্রটি এঁকেছি। অ্যাডলারীয় মনোবিজ্ঞানে প্রবেশের জন্য যেন একটি নির্ভরযোগ্য প্রাথমিক নির্দেশিকা তৈরি করতে চেয়েছিলাম।
এর বিপরীতে দ্য কারেজ টু বি হ্যাপিকে ভাবা যায় এক ধরনের দিকনির্দেশক কম্পাস হিসেবে—যার সাহায্যে অ্যাডলারের ভাবনাগুলোকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে সত্যিকারের সুখী হয়ে উঠবার পথ চলা শুরু করা যায়। একই সঙ্গে এটিকে আচরণগত নির্দেশনাগুলোর একটি সঙ্কলনও বলা যায়, যেখানে প্রথম বইয়ে প্রদর্শিত লক্ষ্যগুলোর দিকে এগোতে হলে বাস্তবে কী কী করতে হবে, তার ধাপে ধাপে ইঙ্গিত আছে।
এই বইতেও আবার আমরা দেখি দার্শনিকের সঙ্গে নিরাশাবাদী তরুণের সংলাপ। দ্য কারেজ টু বি ডিসলাইকড-এর সমাপ্তির তিন বছর পরে, সেই তরুণ এবার শিক্ষক হয়েছেন—অ্যাডলারের ভাবনাগুলো বাস্তবে কাজে লাগানোর ইচ্ছে নিয়েই তিনি এই পেশা বেছে নিয়েছেন। কিন্তু এখন তিনি অ্যাডলারীয় মনোবিজ্ঞানে হতাশ, এমনকি দার্শনিকের ওপর রাগও জমেছে; কারণ দার্শনিকই তো তাঁকে এসব আদর্শের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। বাস্তব জীবনের মানুষের সঙ্গে মিশতে গিয়ে, মানুষকে পড়তে গিয়ে তিনি অনুভব করেছেন—এ সব আদর্শ নাকি বাস্তবে কাজ করে না। তাই তিনি আবারও দার্শনিকের অধ্যয়নকক্ষে ফিরে এসেছেন, আগের সব শিক্ষা চ্যালেঞ্জ জানাতে এবং দাবি তুলতে যে, এই অকার্যকর আদর্শ