‘মন রে কৃষিকাজ জানো না’-এমনটাই বলেছিলেন রামপ্রসাদ সেন। ‘মন’ এক আজব দুনিয়া যা জীবনের সহচর, নিয়ন্তা, একই সঙ্গে কর্তৃসত্তা ও অধিকরণ-সত্তা। ‘মন’কে কর্ষণ করে, দেহমনের যৌগপদ্যে গড়ে তুলতে হয় সভ্যতা-সংস্কৃতি, যা-কিছু পার্থিব ও অপার্থিব-সকল কিছু। এর অস্তিত্ব, গঠনতন্ত্র, বিবর্তন-রূপ-রূপান্তর নিয়ে হাজারো জ্ঞান উৎপাদন করা যায়। অসংখ্য তত্ত্ব-উপাত্ত দিয়ে ভরিয়ে তোলা যায় ‘মন’-এর অধীন ইচ্ছা-ক্রিয়া- চিন্তার ভাঁড়ার। মন কি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়? নাকি অতীন্দ্রিয়, অধরা কোনো ছায়া-সত্তা? মানুষ জীবনযাপনে, সংস্কার-কৃত্যে, মূর্ত-বিমূর্ত কল্পনাক্রিয়ায় মনকে ঢেউ করে তরী ভাসায়, তীর সন্ধান করে। সৃজনক্ষমপ্রজ্ঞার অধিকারী বলে মানুষ মানসিক জগৎ সৃষ্টি করে, জৈবিক জীবনের তট ছাপিয়ে সভ্যতার উত্তাল ঢেউয়ে সাঁতরে বেড়ায়। এই সৃজনক্রিয়ার নান্দনিক প্রকাশটা ভাষার মৃত্তিকায় অঙ্কুুরায়িত হয়। আর তাই মনের মনোবিশ্লেষণের মূল লক্ষ্য হল শিল্পসাহিত্যে অভিব্যক্ত ‘মানবমনকে ব্যাখ্যা করা, অন্তর্গভীর রহস্যকে খুঁড়ে সত্তার আত্মপরিচিতি দাঁড় করানো।
বেগম আকতার কামাল অ্যাকাডেমিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন, মননশীল প্রবন্ধ লেখেন। এবার তিনি লিখলেন মনের বিশ্লেষণ নিয়ে মন: কহন না যায়
Report incorrect information