হুমায়ূন আহমেদ এর বইয়ে ৩০% পর্যন্ত ছাড়! ফ্রি-শিপিং*, ১০০৳ বিকাশ ক্যাশব্যাক ও নিশ্চিত প্রজাপতি বুকমার্ক উপহার!
প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 15 Nov 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
নবীজির সীরাত দিয়েই শুরু হোক প্রতিটি মুসলমানদের জীবন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সীরাত বা জীবনী অধ্যয়ন শুধু জ্ঞানবৃদ্ধির বিষয়ই নয়, এটা দ্বীনি প্রয়োজন। কারণ, মানবজীবনের এমন কোনো দিক নেই, যা প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্পর্শ করেনি। ব্যবহারিক, আধ্যাত্মিক, ইহলৌকিক, পারলৌকিক— সব কিছুই তার জীবন ও সাধনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। ফলে তার জীবনাদর্শ মানবজাতির জন্য অনুকরণীয়। জীবন পথে আলোর মশাল ও দিকনির্দেশনা স্বরূপ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর (স.) মধ্যে রয়েছে অনুপম আদর্শ, তাদের জন্যে যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।” (সূরা আহযাব: ২১)
ইসলামি শরিয়তে কোন আমল উত্তীর্ণ— তা যাচাইয়ের নিখুঁত মানদণ্ড হলো নবীজির সীরাত। আর যেই আমল সীরাত ও সুন্নাতের মানদণ্ডে ঠিক না, সেটি ইসলামে অশুদ্ধ ও বর্জনীয় বলে বিবেচিত। কাজেই সঠিক ও শুদ্ধ উপায়ে আমল করতে চাইলে সীরাত পাঠের বিকল্প নেই। সীরাত পাঠে কোরআন অনুধাবনও সহজ হয়। কারণ, তাঁর জীবনই ছিল কোরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ তরজমা ও তাফসির।
যিনি যতো বেশি সীরাতের গভীরে অবগাহন করবেন, তিনি তত বড় রাসূল প্রেমিকে রূপ নেবেন। নিখুঁত জীবনের সন্ধান পাবেন। মানবিক হয়ে উঠবেন। গঠিত হবে মজবুত ঈমান। তাই মানবজীবনে সৌভাগ্যের চাবিকাঠি এই সীরাত। আধুনিক নয়, বরং সর্বাধুনিক জীবনপদ্ধতির গ্যারান্টি। সীরাত অনুসরণ-অনুকরণ এবং দৈনন্দিন জীবনে এর বাস্তবায়ন ছাড়া কারো পক্ষেই পার্থিব কিংবা অপার্থিব কোন সফলতার আশা করা বোকামি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বেশি বেশি সীরাত পাঠ এবং তা থেকে কল্যণ লাভের তাওফিক দান করুন। সেইসঙ্গে বিশ্বনবী (স.)-এর আশেক হিসেবে কবুল