প্রকাশ্য দিবালোকে পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের জনবহুল রাস্তায় সিসিক্যামেরা অকেজো করে নৃশংসভাবে খুন করা হলো বারোজন পথচারীকে। খুনের পর খুনিরা ভিক্টিমদের চেহারা বিকৃত করল, এমনকি পোশাকও সরিয়ে ফেলল, যাতে কেউ ভিক্টিমদের চিনতে না পারে। ভিক্টিমদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট জোগাড় করেও এনআইডি ডাটাবেজে কারো সাথে মিল পাওয়া গেল না। একইসময়ে কারা যেন মেট্রোরেল লাইনে বোমা মেরে কয়েকশ মানুষকে খুন করল। এদিকে জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন করতে আসা বিবিসির সাংবাদিক ওয়াল্টার থর্ন এমনকিছু জেনে ফেলল, যা তার জানা উচিত না। কিন্তু কি সেটা তা কাউকে বলার আগে তাকেও কারা যেন খুন করল। মৃত্যুর আগে ভিডিওবার্তায় বিদেশি মিশনে পা হারিয়ে অকালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়া গোয়েন্দা মেজর রাশেদ উমারের কাছে সাহায্য চাইল ওয়াল্টার থর্ন। একসাথে দুইটা আলাদা নৃশংস খুনের তদন্তে নামতে বাধ্য হল মি. উমার। তদন্ত করতে গিয়ে এক অতি গোপন সংগঠনের খোঁজ পেল সে, যার নাম ইত্তেহাদ পার্টি। সেই ইত্তেহাদ পার্টিকে পরিচালনা করছে এক গোপন সিন্ডিকেট, যাদের সাথে সম্পর্ক আছে সেনাবাহিনীর কিছু বিদ্রোহী অফিসারের। কারা এই সিন্ডিকেট? কি তাদের উদ্দেশ্য? নাজিরা বাজারের বারোখুনের সাথে এদের সম্পর্কই বা কি? মেট্রোরেল লাইনে বোমাহামলার সাথে কি তাদের কোনো সম্পর্ক আছে? আর ওয়াল্টার থর্নকে কে হত্যা করল? কি জেনে গিয়েছিল সে?একে একে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মি. উমার পড়ল এক রক্তাক্ত গোলকধাঁধায়, যেই গোলকধাঁধায় একবার কেউ পড়ে গেলে তাকে বাঁচতে দেওয়া হয় না....
লেখক রায়হান মাসুদের জন্ম ১৯৯৪ সালের ১৪ জুন। তার বাবা তালুকদার মোঃ মাসুদ একজন উকিল। আর মা মোসাঃ শাকিলা আক্তার একজন গৃহিণী। লেখক শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। লেখক পেশায় একজন ডাক্তার। এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ৪০, ৪২ দুই বিসিএসেরই ক্যাডার। গল্প লেখা লেখকের নেশা। এই তারিখ পর্যন্ত লেখকের লেখা গল্পসংখ্যা ৩৯০ টি এবং উপন্যাস সংখ্যা ১০ টি এবং এখনো চলমান। ২০১৪ সাল থেকে লেখালেখিতে জড়ানো লেখকের এতগুলো গল্প-উপন্যাসের মধ্যে প্রকাশিত উপন্যাস মাত্র ২ টি। বলি ও চট্টলায় এক ডাইনি থাকে। আর বিভিন্ন গল্পসংকলনে প্রকাশিত গল্পের সংখ্যা ১৫ টি। এদ্বারাই বোঝা যায়, লেখক কতটা ধৈর্য নিয়ে এত বছর ধরে লড়াই করছেন নিজের এই আবেগটা নিয়ে। লেখালেখি তিনি ছাড়েন নি, এবং ছাড়বেনও না। এইচপি লাভক্রাফটও তার জীবদ্দশায় তার লেখার মূল্য পান নি। তার মৃত্যুর ১৫ বছর পর তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে সাহিত্যে "লাভক্রাফটিয়ান হরর" নামে সারাবিশ্বে বিখ্যাত হয়। লেখক রায়হান মাসুদও তাই সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও লিখে যাচ্ছেন।