ইসলাম মানবজাতির কল্যাণ, ন্যায় ও শান্তির বার্তা নিয়ে আগত এক ঐশী ধর্ম। 'ইসলাম' শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ 'সালাম' থেকে, যার অর্থ শান্তি, নিরাপত্তা ও আত্মসমর্পণ। আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ ও তাঁর নির্দেশ মেনে চলার মাধ্যমে একজন মুসলমান প্রকৃত শান্তি লাভ করে এবং সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয়; বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের আধ্যাত্মিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নৈতিক সকল দিককে আলোকিত করে।
ইসলামের মূল দর্শনে শান্তি
ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসসমূহই শান্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদ মানুষকে আত্মিক শাস্তি দেয়, কারণ এতে মানুষ জাগতিক অসংখ্য প্রভুর গোলামি থেকে মুক্ত হয়ে একমাত্র দয়াময় সৃষ্টিকর্তার প্রতি আহ্রাসমর্পণ করে। ইসলামে বিশ্বাস রাখা পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে প্রতিটি স্তম্ভই শান্তির বার্তা বহন করে।
এক. শাহাদাহ [ঈমান): আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রাসুল- এই সাক্ষ্য মানুষের অন্তরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে ও সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ জীবনব্যবস্থার ভিত্তি তৈরি করে
দুই, সালাত নামাজ): দৈনিক পাঁচবার নামাজ মানুষের আত্মাকে শুদ্ধ করে, ধৈর্য শেখায় এবং মানুষের মধ্যে সহানুভূতির মনোভাব সৃষ্টি করে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- 'নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
মুফতি উবায়দুল হক খানের জন্ম হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানায়। মেশকাত পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন হবিগঞ্জের দারুল কুরআন মাদরাসায়। শাপলা-সালে দাওরা পড়েছেন মগবাজার দিলুরোড মাদরাসায়। ইফতা পড়েছেন বনানী জামিআ মুহাম্মদিয়া ইসলামিয়ায়। হাদিসের খেদমতের মাধ্যমে শিক্ষক-জীবন শুরু। পড়িয়েছেন দাওরায়ে হাদিসের সবগুলো কিতাব। দীর্ঘ এক যুগের কর্মজীবনে দারুল ইকামা, সহকারী শিক্ষাসচিব, শিক্ষাসচিব ও নায়েবে মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেছেন সফলতার সাথে। বর্তমানে মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করছেন গাজীপুরের এক মাদরাসায়। সাথে বুখারি শরিফের দরস দিচ্ছেন দুটি মাদরাসায়। একদশক যাবত সম্পাদনা করছেন সাহিত্য সাময়িকী প্রতিভা। অর্থসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের। লিখেছেন- সুখের নীড় [২০১৫], মাযহাব : পরিচয় ও প্রয়োজন [২০১৭], আলোকিত রমযান [২০২১] ও মদিনা সনদ [২০২৩]। সম্পাদনা করেছেন- তারুণ্যের ছন্দমালা [২০১৭] ও তারুণ্যের গল্পমালা [২০১৯]। অনুবাদ করেছেন- ফয়জুল কালাম, রিয়াদুস সালিহিন [৪ খণ্ড], আল আদাবুল মুফরাদ [২ খণ্ড], কাসাসুল আম্বিয়া [৯ খণ্ড], পর্দা মুসলিম নারীর অলংকার, আল আযকার, আত তিব্বুন নববি সা. ও হিসনুল মুসলিমসহ বেশকিছু কিতাবের। অনুবাদক হিসেবে কাজ করছেন দারুত তিবইয়ানের।