ভূতের গল্প লেখার ইচ্ছা আমার কোন দিনই ছিলো না। কেন যেন মনে হতো খামোকা লিখে কী হবে! ছোটবেলায় ভূতের গল্প পড়ে ভয় পাইনি এমন না। তবে সেটাকে ঠিক ভয় পাওয়া বলা বোধ হয় ঠিক হবে না। কারণ এমন কখনো হয়নি যে আমি ভূতের গল্প শোনার পর গ্রামের শুনশান রাস্তায় হেঁটে বাড়ি ফিরতে পারিনি। তার মানে আবার এই না যে আমি বিরাট সাহসী। আসলে গা ছমছমে ভাবটা থাকলেও কোথায় যেন আমার একটা জেদ কাজ করতো, বৈজ্ঞানিক ভাবে জানি যখন ভূত বলে কিছু নেই তখন তাতে ভয় পাবার কী আছে! কিন্তু তাতেও কি আর মন মানে। নির্জন জায়গায় গেলে মনে হয় এই বুঝি...। সেই সূত্রে ভূতের গল্প না লেখার প্রতিজ্ঞা তা কিন্তু না। লিখতে গেলে সেই পোড়ো বাড়ি, তারপর অট্টহাসি অথবা একটা মানুষের সাথে দেখা হলো তারপর দেখা গেলো সে মোটেও রক্ত-মাংসের মানুষ না, হঠাৎ করেই কঙ্কাল হয়ে হি হি করে হাসছে। ওসব কোন সময় লিখতে ইচ্ছে করেনি। কেউ কেউ আবার বলেছে ভূত যেহেতু নেই তখন সেটাকে মজার করে লিখে ছোটদের ভয়টা ভেঙ্গে দেয়াই ভালো।