ডেড রেকনিং বইটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, ভারতীয় রাজনীতি, এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যকার সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে এক ধরণের গভীর অনুসন্ধান। গল্পের মূল চরিত্রটি একটি শক্তিশালী, বিতর্কিত রাজনৈতিক নেত্রী, যিনি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতি অনুযায়ী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে, তার রাজনৈতিক অবস্থান এবং তার ব্যক্তিগত জীবন—এই দুটি একে অপরের সাথে মিশে গিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরে, বিশেষ করে তার জীবনে সম্পর্কের দিকগুলোতে। এই সম্পর্কগুলোর মধ্যে তিক্ততা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং আত্মবিশ্বাসের সংকটের সাথে জড়িত নানা রাজনৈতিক কৌশলও রয়েছে।
বইটি রাজনৈতিক ডায়নামিক্সের পাশাপাশি, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতাকেও খুব সুন্দরভাবে চিত্রিত করেছে। এটি পাঠককে আত্মবিশ্বাস, বিশ্বাসঘাতকতা, এবং সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা নিয়ে চিন্তা করতে বাধ্য করে। বইটির ভাষা সরল, তবে গল্পের গভীরতা এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিশে যায় যা পাঠককে একেবারে সঙ্গী করে নেয়।
প্রধান বিষয়বস্তু:
ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি
ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন
বিশ্বাসঘাতকতা, আত্মবিশ্বাস, এবং মানবিক দুর্বলতা
সমাজের মধ্যে পরিবর্তন আনার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা
ডেড রেকনিং একটি বাস্তবধর্মী ও গভীর রাজনৈতিক উপন্যাস, যা আমাদের রাজনীতি এবং সমাজের প্রতিটি স্তরের মধ্যে টানাপোড়েন এবং পরিণতির বাস্তবতা দেখায়। এটি পাঠকদের চিন্তা-ভাবনা করতে এবং সমাজের জটিলতা সম্পর্কে আরও সচেতন হতে সাহায্য করবে।
শর্মিলা বসু'র জন্ম ১৯৫৯ সালের ৪ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে। তাঁর পিতা ইংরেজীর অধ্যাপক শিশির কুমার বসু ও মাতা কৃষ্ণা বসু। তাঁর দাদা হচ্ছেন বিখ্যাত বাঙালি বিপবী নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু'র বড় ভাই শরৎ চন্দ্র বসু। শর্মিলা পিএইচডি করেছেন বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এ সিনিয়র রিসার্চ এসোসিয়েট হিসেবে কর্মরত।