আমি ভাবতাম, পিটার প্যান একটা রূপকথার চরিত্র। আর নেভারল্যান্ড রূপকথার বর্ণিত একটা জায়গা মাত্র। একটা গল্প, যেটা আমার মায়ের বানানো। যার মাথা অনেক আগেই খারাপ হয়ে গেছে... কিন্তু যখন স্বয়ং পিটার প্যানের ছায়া এসে পড়লো আমার ঘরে, তখন আর ওকে অস্বীকার করার জো রইলো না। সে আমাকে বন্দী করে নিয়ে গেলো নেভারল্যান্ডে।
আমি ও আর অন্যান্য হারিয়ে যাওয়া ছেলেদের মাঝে কিভাবে জানি নিজের জায়গাও করে নিয়েছি। আর কখনও পেছন ফিরে তাকাইও নি।
এখন, আমি ওর পাশে দাঁড়িয়ে এমন এক যুদ্ধে জড়িয়ে গেছি, যেটা থেকে নিস্তার পাওয়ার কোন উপায় দেখা যাচ্ছে না। আমরা ভেবেছিলাম, আমাদের সব ক’টা শত্রু’কে নিকেশ করতে পেরেছি। ভেবেছিলাম, বাকি জীবন সুখে শান্তিতে বাস করতে পারবো...
কিন্তু এমন এক শত্রু বাকী রয়ে গেছিলো, যাকে আমরা আশাই করতে পারি নি। এক পরী, যার কিছুই আর হারাবার নেই, বরং সব কিছু পাওয়ার আছে... সোনালি পাখা, আর পৃথিবীর অন্ধকারতম, প্যাঁচালো আর ভয়ংকর এক হৃদয়ের অধিকারী সে।
সে পিটার প্যান আর এই দ্বীপটাকে চায়। এই দুটো জিনিস পাওয়ার জন্য সে কোন বাধাই মানবে না। পথে যা কিছু পড়বে, ছারখার করে দেবে সে। এমন কি তার স্বজাতিকেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না সে...
পাঠক, ঘুরে আসি চলুন ‘যুবক’ পিটার প্যানের জাদুকরী জগত থেকে... হ্যাঁ, সে আর ছোট্ট কিশোরটি নেই, বড় হয়ে গেছে ওয়েন্ডি’ও... যুবতী এখন সে। এই জোড়ার সাথে ভয়ংকর প্রতিহিংসা পরায়ণ এক পরীর সংঘাতের আখ্যান এই ‘দ্য ফেই প্রিন্সেস’... পরতে পরতে যার চমক, যাদু, ভালোবাসা আর বিশ্বাস ঘাতকতা...