গত ছয় মাস ধরে খুলনা শহরে "হাইওয়ে কিলার" ক্রমাগত তার হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। শিকার হিসেবে পতিতা কিংবা নিম্নশ্রেনীর মহিলারা গায়েব হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তাদের বিকৃত লাশ পাওয়া যায়। সিআইডির খুলনা শাখার ইন্সপেক্টর ইরহাম কাওনাইন ছয় মাস আগে পর পর দুইটি কেস সলভ করার সময় এই হাইওয়ে কিলার নামক ধূর্ত খুনির অস্তিত্বের কথা জানতে পারে। শুধুই যে খুনি তা নয়, অত্যন্ত ম্যানিপুলেটিভ আর রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত প্রভাবশালী এই লোকের বিরুদ্ধে সিনিয়র পার্টনার আফসারকে সাথে নিয়ে তদন্তে নামে কাওনাইন। এবং ছোট্ট ছোট্ট সূত্র থেকে প্রায় ধরেই ফেলেছিল খুনিকে।
ঠিক তখনই কাওনাইনের আশেপাশে পানি ঘোলা হতে শুরু করে। খুলনায় বিভিন্ন এলাকায় বাথরুমের শাওয়ারের সাথে ঝুলন্ত নগ্ন নারীর লাশ পাওয়া যায়। খুনের প্রক্রিয়ার মিল বাদে আর ভিক্টিমদের মধ্যে কোন মিল পাওয়া যায় না। না সিরিয়াল কিলিং না সাধারণ মার্ডার-অদ্ভুত এই কেসের তদন্তের ভার দেয়া হয় আফসার এবং কাওনাইনকে। শুরু হয় ইঁদুর বেড়াল খেলা।
আমাদের আশেপাশে যা দেখা যায় তা কেবলই মায়ার একটি পর্দা। সেই পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকে কত রহস্য। একে একে অতীত খুঁড়ে বের করে আনতে লাগল আফসার আর কাওনাইন। আবির্ভাব হল পর্দায় আবৃত এক সত্য। তবে সবকিছুরই মূল্য আছে, সত্যের বিনিময়ে কাওনাইনকে সেটা চুকাতে হল।
আসুন পাঠক, আপনাদের নিয়ে যাওয়া যাক সেই আবৃত সত্যে, যা পাল্টে দিবে কিছু মানুষের জীবন।
মোহাইমিন আরেফিনের জন্ম ঢাকা শহরে। ছোট বেলায় সিলেটের মাধবপুর শহরে বড় হলেও স্কুল কলেজ সব ঢাকায়। আইডিয়াল স্কুল আর নটরডেম কলেজ থেকে পাস করার পর আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেছেন। বর্তমানে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। লেখকের আরও বইঃ পরম্পরা, লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।