4 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 200TK. 179 You Save TK. 21 (11%)
Related Products
Product Specification & Summary
শামসুর রাহমান বাংলা কবিতার মহাপুরুষ। কিন্তু কবিতার বাইরে তিনি প্রবন্ধ, গল্প ও উপন্যাসও লিখেছেন।
একটি উপন্যাস ‘অদ্ভুত আঁধার এক’! পটভূমি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ।
‘অদ্ভুত আঁধার এক’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নাদিম ইউসুফ। নাদিম ইউসুফ কবি। ঢাকার সরকারি পত্রিকা দৈনিক পদাতিক-এ চাকরি করেন। শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। প্রাণের ভয়ে স্ত্রী নাজমা ও কন্যা নিয়ে জন্মগ্রাম পলাশতলীতে আশ্রয় নেন। শহরের মানুষ নাদিম গ্রামে আশ্রয় নিয়ে দিন যাপন করলে শৈশবের বিচিত্র স্মৃতি ও ঘটনা মনের পর্দায় হানা দেয়।
সামনে কবিতা লেখার খাতা। কিন্তু মনের মধ্যে উথাল-পাথাল ঢাকার রক্তাক্ত ভয়ানক পরিস্থিতি। নিজের অসহায়ত্ব অতিক্রম করে চলে যেতে চায় নাদিম যুদ্ধে, দেশের স্বাধীনতার জন্য।
কিন্তু পারে না স্ত্রী-সন্তানের মুখ চেয়ে। অন্যদিকে বুকের মধ্যে বাজে আত্মগ্লানির চাবুক।
শামসুর রাহমানের ‘অদ্ভুত আঁধার এক’ উপন্যাস মূলত নিজের মানচিত্র। শামসুর রাহমানের গ্রামের নাম পাড়াতলী। উপন্যাসের গ্রামের নাম পলাশতলী!
একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে বাঙালির মন ও মানসিকতা পাল্টে গিয়েছিল। উপন্যাসের নায়ক নাদিম ইউসুফের বড় চাচা, সব সময় পবিত্র কোআন পড়েন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আর থাকবো না। যা জুলুম ওরা করতাছে, এই জুলুমের পর পাকিস্তান থাকতে পারে না। অগো উপর আল্লাহর গজব পড়ব।’
‘অদ্ভুত আঁধার এক’ উপন্যাসে ছোট ছোট চিত্রকল্প একে শামসুর রাহমান সেই রক্তদিনের বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।
‘অদ্ভুত আঁধার এক’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লেখা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আত্মদহনের উপন্যাস।