সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই জুলফিয়া ইসলামের নিরলস পদচারণা। প্রাবন্ধিক হিসেবে পাঠক মহলে বেশ খ্যাতি ছড়িয়েছেন। দৈনন্দিন জীবনে যেসমস্ত কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয়; চেতন কিংবা অবচেতনে যা-যা ঘটে, সেসমস্ত কার্যাবলির লিখিতচিত্র তিনি নিপুণভাবে উপস্থাপন করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত ।
জুলফিয়া ইসলামের চিন্তার জগতটা বিস্তৃত। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি ছাড়াও নিতান্ত সাধারণ বিষয়ও বাদ যায়নি সেই চিন্তা থেকে। তার প্রতিটি লেখাই বাস্তবধর্মী; সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে আলোচনা করেন সমস্যা 13 সম্ভাবনার। তাতে নেই কোনো কৃত্রিমতা—নেই কোনো দুর্বোধ্যতা— আছে গভীর ভাবনা-চিন্তার সরল বিন্যাস। সুপাঠ্য বাক্যের মধ্যদিয়ে তা প্রস্ফুটিত; যা তাঁর লেখার অনন্য বৈশিষ্ট্য।
জুলফিয়া ইসলামের পরিচয় তাই লেখক ও ঔপন্যাসিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সমাজচিন্তক হিসেবেও তিনি সফল। সমাজের নানা অসঙ্গতিকে তুলে ধরা 3 পরিবর্তন-পরিমার্জনার নিমিত্তে নিরন্তর লিখে চলেছেন। তার তাঁর এ নিরলস প্রচেষ্টা সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
বৃহত্তর পাঠক-সমাজ নিশ্চয় তা সাদরে গ্রহণ করবেন।