‘বর্ণমালায় পুষ্টি জানো’ বইটি ছোট্ট সোনামণিদের জন্য খুবই দরকারি। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ বই লেখা। আজকাল বড়রাও দেশি শাক—সবজি, ফলমূল, মাছ—মাংসের ঠিকমতো নাম না জানলে সমস্যায় পড়েন। শহরাঞ্চলের মানুষ এসবের অনেক কিছুই চেনেন না বা জানেন না। আমরা বড়রাই যদি ঠিকমতো না চিনি বা না জানি তাহলে ছোট্ট সোনামণিরাই বা কীভাবে জানবে! ওদের বর্ণমালা শেখার সময়ই শাক—সবজি, ফলমূল, মাছ—মাংস সম্পর্কে ছোটবেলা থেকেই জানানো প্রয়োজন। চিনতে পারা এবং উপকারিতা জানলে ছোটদের খাওয়ানো সহজ। চারিদিকে সব রেডি ফুড, প্রসেসড ফুড, ফাস্ট ফুডের মাঝে ছোট্ট সোনামণিদের একেবারে যেন উপকারী খাবার খাওয়ানোই হয় না। ওদের সুস্থতার জন্য পুষ্টিকর ও উপকারী খাবারগুলো চেনা ও জানা প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, হাড় ও দাঁতের সঠিক পুষ্টি, রক্তস্বল্পতা দূর করা, ক্ষয়পূরণ, দুর্বলতা কাটানো, অরুচি প্রতিরোধ, মেধার সঠিক বিকাশের বিষয়গুলো। তাই আমি ভেবেছি একজন পুষ্টিবিদ হিসেবে ছোট্ট সোনামণিদের জন্য কিছু করা উচিত। এ বইটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য বর্ণমালার পাশাপাশি শাক—সবজি, ফলমূল, মাছ—মাংসের নাম চিনতে ও জানতে পারবে। উপকারিতা জানতে পারলে খাওয়ার আগ্রহও বাড়বে। বইটিতে আমাকে শাক—সবজি, ফলমূল ও মাছের নাম সংগ্রহে সহযোগিতা করেছে পুষ্টিবিদ কানিজ ফাতেমা।
সৈয়দা শারমিন আক্তার এদেশের একজন স্বনামধন্য পুষ্টিবিদ। তিনি ১৯৯৬ সালে পুষ্টিবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআর.বি) যোগ দেন। তিনি দ্বিতীয় মাত্রার অপুষ্টি শিশুদের নিয়ে চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে (আইসিডিডিআর.বি) দীর্ঘদিন গবেষণামূলক কাজ করেন। উক্ত গবেষণা পরবর্তী পর্যায়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা হিসেবে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার’-এর সিইও ও প্রিন্সিপাল নিউট্রিশনিষ্ট পদে কর্মরত আছেন।