ও নেই অথচ চল্লিশ বছর ধরে রহস্য বাড়ির ফুলগাছগুলো রাজ্যির ফুলে ফুলে সেজে থাকে । ভোরের স্নিগ্ধতার সাথে মিষ্টি ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়লে সবাই তাকিয়ে দেখে, ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে আছে কিছু তাজা ফুল, পাশেই ছোপ ছোপ পায়ের চিহ্ন। পায়ের ছাপগুলো পিছনের দরজা দিয়ে বাইরে চলে গেছে। যেখানে বাঁশ বাগানের মাটির নিচে পরী নামের মেয়েটি ঘুমিয়ে আছে ।
ক'দিন ধরে খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে হঠাৎ দীপু চিৎকার করে বলে উঠলো, এইতো! এইতো সেই বিল! ওইখানে! ওইখানে কোথাও পড়ে ছিল তপুর নিথর ছোট দেহখানি...
তারামনের সংসার দেখে বস্তিবাসির চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়লো, আনন্দ অশ্রু ঝরে পড়লো তারামনের বাঁকা দুটি চোখ থেকেও। সন্তানদের দেখবাল করতে করতে নিজেদের দিকে তাকানোর কখনো সময় হয়না যাদের। যৌবনের তেজ-শক্তি উজাড় করে করে ঠিকানা গড়েদেন সন্তানদেরকে অথচ বৃদ্ধ বয়সে তাদের ঠিকানা যেন অনিশ্চিত ।
তাঁদের ঠিকানা কোথায়? এমনই জিজ্ঞাসা নিয়ে প্রেম-ভালোবাসা, হাসি-আনন্দ, দুঃখ-কান্না সবকিছু ঘিরে রহস্যবৃত জীবনের ভাঁজে ভাঁজে মিশে থাকা প্রতিটি গল্প যেন একটি ফ্রেমে আঁটা...