জল ছুঁয়ে হাওয়া, সমুদ্র অর্থে জল আর পাহাড় এখানে হাওয়া। সমুদ্র ধারণ করে জল, পাহাড় হাওয়া; হাওয়ারা খেলা করে পাহাড়ে, ঢালে আর শূন্য ভ্যালিতে— ঘাসেদের সাথে, গাছেদের সাথে, আকাশেরর সাথে। শোঁ শোঁ শব্দ যেন লেগেই থাকে। জল ছুঁয়ে হাওয়া ভ্রমণ কাহিনী ছাপিয়ে ভ্রমণ সাহিত্যে গড়িয়েছে। দক্ষিণ বাংলার অনালোচিত জায়গা চর কুকরী মুকরী ’র আশ পাশ— চর মন্তাজ, চর নিজাম, ঢাল চর, সোনা চর, নারকেল বাগান সি বিচ, তাড়ুয়া দ্বীপ। সমুদ্রের বুকে পলি জমে জেগে ওঠা এ সমস্ত চরের সবগুলোতে মানুষের বসতি নেই; আবার ধু ধু বালুও নয়! উর্বর পলিতে সহজেই গজিয়ে ওঠে গাছ পালা; ঝড়—জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে রক্ষা পেলেই কেবল তাদের বেঁচে থাকা; প্রকৃতির সাথে মিতালী করে বনায়ন কর্মসূচির আওতায় লাগানো হয়েছে গাছ। সেসব গাছ তৈরি করেছে সবুজ বেষ্টনী। মহিষের পাল সেখানে চরে বেড়ায়। পাশে থাকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী— তাদের সংগ্রাম, টিকে থাকার গল্প এসেছে এ বইতে। ‘অমাবস্যার আলোয়’ সাবটাইটেল দেশের সর্বোচ্চ পাহাড় তাজিংডং এর চূড়ায় ওঠার গল্প; দুর্গম পথে রাতের আঁধারে হাড় কাঁপানিয়া অভিযাত্রা। আখ্যানে এসেছে পাহাড়ীদের জীবন যাত্রা, মন—মানসিকতা, পারিপার্শ্বিকতা, প্রকৃতির সাথে তাদের নিবিড়তা। ভ্রমণ ছাপিয়ে এ বই হয়ে উঠেছে অন্ত্যজ মানুষের আলেখ্য।