ইংল্যান্ডের এক প্রাচীন রাজবাড়ীতে গভীর রাতে ভূতের আনাগোনা ছিলো। ভূতরা এসে পুরানো জামা কাপড় বাসনপত্র এলোমেলো করে রেখে যেতো। এমনকি কলম, দোয়াত আর কালি রেখে দিলে সাদা কাগজে ছবি আঁকার চেষ্টা পর্যন্ত করতো। আর গভীর রাতের নিঝুম নিরবতা ভেঙে অদ্ভূত বিচিত্র সব শব্দ ভেসে আসতো বাতাসে। ওসব থেমে গেলে প্রাচীন পিয়ানোতে ভেসে উঠতো করুণ সঙ্গীতের সুর। হ্যাঁ, এসব লিখেছেন এক ভূত বিশেষজ্ঞ যিনি ঐ রাজবাড়ীতে এক রাত থাকার পর ভোরবেলা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন রাজবাড়ীর কেয়ারটেকার। এ ছাড়া একবার নিউইয়র্কে এক মৎস্য শিকারী বিকালে মাছ ধরছিলেন একটা হ্রদের ধারে। সন্ধ্যার একটু আগে তিনি দেখলেন পানির ভিতরে জালের ঘেরে তার ধরা মাছের সংখ্যা কমে গেছে। প্রথমে তিনি মনে করলেন এটা তার গণনাতে ভুল। কিছুক্ষণ পর তিনি আর একটি ধরা মাছ রাখতে গিয়ে দেখলেন অর্ধেক মাছ হাওয়া। সেদিন ছিল কৃষ্ণপক্ষ। সন্ধ্যা হতেই অন্ধকার নেমে এল। হঠাৎ লোকটা দেখলেন তার পেছনে নিগ্রদের মতো কালো কুচকুচে একটা অস্বাভাবিক লম্বা মানুষ ঘের থেকে একটা মাছ তুলে নিয়ে কঙ্কচ্ করে চিবিয়ে খাচ্ছে।