শওকত সাহেব ইনাকে কাজটি বুঝিয়ে দিলেন। বিস্তারিত শােনার সময় ইনার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে এল। আতংকে না; উত্তেজনায এমন রােমাঞ্চকর কাজের কথা ইনা কল্পনাও করেনি। ভীষণ অবাকও হয়েছে। সর্বশেষ এমন অবাক হয়েছিল জন্মদিনে শােভনের দেওয়া উপহার দেখে। গিফটের সুন্দর মােড়ক খুলতেই বেরিয়ে পড়েছিল হলুদ রঙের জীবন্ত টিকটিকি! জন্ম থেকেই টিকটিকি সহ্য করতে পারে না ইনা। কারণটা অদ্ভুত টিকটিকি দেখতে ‘গু’ এর মতাে; তাছাড়া সিলিংয়ে এমনভাবে লেপটে থাকে যে মনে হয় টুপ করে এখনই গায়ে পড়বে! ইনা নিজের ঘরে ঢুকে একপাশের দেয়ালে ঝুলানাে আয়নার দিকে তাকাল। দাদাজানের দেওয়া কাজটির বর্ণনা শুনে সে এতটাই বিস্মিত যে তার মুখ থেকে বিস্ময়ভাবের রেশ এখনাে কাটেনি। জীবনে চলার পথে জনৈক প্রিয় আগন্তুক কোনাে এক স্বপ্নীল ক্ষণে ইনাকে জানিয়েছিল, বিস্মিত হলে। তাকে কতটা সুন্দর লাগে-চোখে গভীরতা ভর করে, হাসিতে রহস্যের ছাপ পড়ে, উজ্জ্বল ফর্সা গালে গােলাপি আভা ফুটে ওঠে! সেই বাণী অমােচনীয় কালির মতাে আজও ইনার হৃদয়ের আবরণে লেপটে আছে।