বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া
নিকষ কালো রাত, তার পাশে বসা অপ্সরীর মতো মনোলোভা চিত্রলেখা। এক অসামান্য তরুণী যার চোখের দৃষ্টিতে লুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল ক্রমান্বয়ে রকিবের সমস্ত জাগরণ। চিত্রলেখার নরম হাতের স্পর্শে রকিব কেঁপে কেঁপে উঠছিল। চিত্রলেখাও হাত সরায়নি। হয়ত সেও ভুলে গিয়েছিল পৃথিবীর ঐসব সুক্ষ্ম বাছবিচারের কায়দা-কানুন।
দুরন্ত ইচ্ছের ঢেউয়ে ঢেউয়ে চিত্রলেখা রকিবের আরো কাছে এসে পড়ে। সুগন্ধী নরম শরীরের চিত্রলেখা একসময় রকিবের বুকের মধ্যে ভীরু কপোতীর মতো জড়োসড়ো হয়ে থাকে। বক্তিরও অজান্তে চিত্রলেখাকে আরো কাছে টেনে নেয়, ঘনিষ্ঠতার আলিঙ্গণে আবিষ্কার করে তার মধ্যে জেগে উঠছে এক ধরনের ভালোলাগার অনুভূতি। যা শুধু গল্প উপন্যাসে পড়েছে কিন্তু কখনো এমন অভিজ্ঞতার অনুভূতি অনুভব করেনি।
কিছু কিছু মুহূর্ত থাকে যার কোনো সীমারেখা নেই। মনে হয় অনন্তকাল। অথচ হয়ত কয়েক সেকেন্ড অথবা বড়জোর কিছু এলোমেলো মুহূর্ত। সেই রকমটিই ঘটেছিল সেই রাতে...