অস্তাচলের খোঁজে আমার বা অন্য কারো আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা নয়। আত্মজীবনী আমি আলাদা লিখছি। তবে এই উপন্যাসে আমার বাল্য-কৈশোরের কিছু ছায়া আছে, ছায়া আছে সমসাম- য়িক কালের কিছু বন্ধু-সুহৃদ ও মহৎ মানুষের। কিছু জায়গায় ক্ষুধাতাড়িত জীবনের যে চিত্র এঁকেছি বাস্তব চিত্র ছিল আরো ভয়াবহ। উপন্যাসের জীবন কয়েক-ভুবন-প্রসারী, কিন্তু এটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীও নয়। লাইফ-সাপোর্টে থাকা একজন মানুষের মস্তিষ্ক বহু বিচিত্র ভুবন তৈরি করে। তবে কোনোকিছুই সম্ভাবনাময় মানুষের আয়ত্বের বাইরে নয়, রহস্যময় জীবনের ব্যাখ্যাতীত নয়। আমি এমন এক জগতে বাস করছি যেখানে জীবনের এই অধ্যায়ে এসে জগতের তাবৎকিছু সৌন্দর্যে ভরপুর লাগছে। এই সৌন্দর্যকে আরো তীব্র ও সুষমাময় করার প্রয়াস আছে উপন্যাসে। জীবন আসলেই রহস্যময় যার কিছু কিছু সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায়, কিছু কিছু বুঝতে সময় নেয়। তাই সময়-ধৈর্য নিয়েই মানুষ অপেক্ষা করে অস্তাচলের। উপন্যাসটি প্রকাশের জন্য বন্ধুবর আফজালুল বাসার ও বাংলা গবেষণাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।