অতি সাধারণ যে পৃথিবী, তার বুকে মাধুরীর পদচিহ্ন আঁকে প্রকৃত শিল্পীর মন। কবির কল্পনায় বিহ্বল ধরা তাকিয়ে থাকে মানুষের দিকে। ছন্দ-রূপ-সুষমায় তাকে ভরিয়ে তোলাই দায়িত্বশীল মানুষের কাজ। নিজেকে ভুলে গিয়ে বার বার সে কাজেই উত্তীর্ণ হতে হয় মানুষকে। কিন্তু সব সময় কি সে মধুরিমায় পৌঁছানো সম্ভব? কথাগুলো আকাশের দিকে তাকিয়ে এক নাগাড়ে বলে যাচ্ছিল নিলয়ের বাবা এমদাদ সাহেব। স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এবার বললেন- আচ্ছা তুমি যে এতদিন বলতে আমার ছোট ছেলেকে আমি বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি করাবো। সে শহরে গিয়ে পড়াশোনা করবে। আর এখন কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিচ্ছো?
আরে তোমার আঁচল তলে বসে থাকলে ছেলের ভবিষৎ কি হবে, একটু ভাবো। তাকে তার জীবনের লক্ষ্য নিয়ে নামতে হবে। বর্তমানে যে প্রতিযোগীতা তাতে ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া যে, কত কঠিন সেটা তুমি কি করে বুঝবে?
আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে তাহমিনা বেগম বললেন- তুমি কি বুঝবে? তুমি কি মা? তুমি কি দশ মাস দশ দিন পেটে ধরেছো, মায়ের কষ্ট তুমি কি করে বুঝবে?
-এই হলো সমস্যা। কিছু বললেই বলবে এই কথা। আরে তুমি দশ মাস দশদিন পেটে ধরেছো আর আমি যে পেট থেকে জন্ম নেওয়ার পর থেকে সামান্য একটা চাকরি করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এতোটা বছর লালন পালন করলাম আমার বুঝি কোনো কষ্ট হয়
Report incorrect information