33 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 300
TK. 249
You Save TK. 51 (17%)
Related Products
Product Specification & Summary
বুকের নিচে বালিশ চেপে উপুড় হয়ে শুয়ে নিজের নামটা বার বার লিখছে আর কাটছে সােমেন। ওর প্রিয় অভ্যেস। কবে থেকে যে অভ্যেস নিজের মধ্যে গড়ে উঠেছে টের পায়নি। কৈশােরে না যৌবনের শুরুতে তা বলতে পারছে। খুব অস্পষ্টভাবে মনে পড়ে একবার নদীর ধারে বালুর মধ্যে নিজের নাম লিখে মুছে ফেলেছিল। সেটা ছিল খেলা। এখন আর খেলা নয়, এখন অভ্যেস। নিজের বুক হালকা করার কৌশল। মনে মনে হাসে ও। বেঁচে থাকার জন্য কত রকমে কতভাবে যে আয়ােজন করতে হয়। আজ মন খারাপ। তাই খাতার পৃষ্ঠা ভরে যাচ্ছে আঁকিঝুঁকিতে। মন খারাপ থাকলে এমনই করে, ঠিক আক্রোশে নয়, অসহায় বিষন্নতায় নিষ্পেষিত হয় বলে তিন অক্ষরের নামটাকে উল্টেপাল্টে ভেঙেচুরে বিভিন্নভাবে লিখতে ভালাে লাগছে। কখনাে সেই নামের অক্ষর ধরে ফুল বানাচ্ছে, কখনাে পাখি, নয়তাে মানুষের মুখ। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি, বাতাসের জোর দাপট। কদিন ধরেই মেঘলা যাচ্ছিল। আজ নেমেছে, তেমন জোরালাে নয়। এক সময় কলমটা বন্ধ করে বালিশে মুখ গুঁজে দেয়, নিজের নামটা ভীষণ প্রিয়, সােমেন চন্দ, মা ডাকতেন সােম। বুকের ভেতর থেকে কেমন একটা শব্দ আসছে। শৈশবে শােনা মায়ের কণ্ঠ, যা এখন কোথাও নেই, অথচ আছে বুকজুড়ে হাহাকারের ধ্বনি হয়ে। চোখের জলে বালিশ ভিজে যায়। মনে হয় বুকে কষ্ট হচ্ছে, উঠে পা জড়াে করে বসে, হাঁটুতে মাথা রাখে। কিছুতেই অস্বস্তি কাটে না। ব্যথা বাড়লে নিজেকে ঠিক রাখা মুশকিল হয়। আর এজন্যই পড়াশােনার পাট চুকিয়ে দিতে হলাে। মিটফোর্ড মেডিক্যাল স্কুলে আর কোনােদিন যাবে না ও। আজই শেষ দিন...