স্বামী বিদেশে থাকলেও এ বাড়িতে তার ছায়া আছে সর্বত্র এবং সারাক্ষণ। একটি বাচ্চাও হয়েছে। নিজহাতে সাজানো ঘরসংসার দরকারি, অদরকারি ও চোখেধরা কত যে হেনতেন জিনিসে পরিপূর্ণ। ঘর থেকে বেরলেই আঙিনায় নিরাপত্তা-বেষ্টনীর মতো শাশুড়ি, তিন জা ও ভাসুরদের ছেলেমেয়ে ভরা ভিন্ন ঘরগেরস্থালি। তার ওপর বাড়িতে হরদম পাড়াপড়শীর উলকিভুলকি। বাড়িভরা এতকিছু এবং শত লোকজনের মাঝেও মুন্নীর নিজেকে মনে হয় একা। নির্জন বনে পথ হারানো এক অসহায় নারী, দেখার কেউ নেই, কথা বলারও কেউ নেই। তবু যা খুশি তাই করতে পারার উপায় কি আছে?
এরকম মন খারাপ করা একাকিত্ব তাড়াতে সাধারণত কোলের বাচ্চা বেলির সঙ্গে আগডুম-বাগডুম করে সময় কাটায় সে। কিন্তু দু'বছর পূর্ণ হতে না হতেই মেয়েটার বহির্মুখো স্বভাব। বড়দের কোলে চড়ে কেবলি ইতিউতি ঘুরতে চায়। এই মুহূর্তে কার কোলে চড়ে বাইরে ঘুরছে মুন্নী জানেও না। এ বাড়িতে অশান্তি যাই থাক, বাচ্চাকে কোল দেয়ার মতো স্নেহশীল কাখের অভাব নেই অন্তত।