শেষ কথা যদি প্রথমেই বলি, তাহলে ঘটনা হলো, চূড়ান্ত ফলাফল পর্যন্ত তিনি অপরাজিত। ভদ্রলোক বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু বছরটি একাত্তর নয়! মুক্তিযোদ্ধারা কখনও সাবেক নন, এবং তারা কখনো পরাজিত হন না। এই বিবেচনায় তাঁর এ বিজয় হয়তোবা সাধারণ। কিন্তু সেই সাধারণকে অর্জন করতে তাঁকে যে অসাধারণ ক্ষতিস্বীকার করতে হয়েছে, বিষয়টা সেইখানে। তা না হলে বলা যেতো ঘটনাটা খুবই আটপৌরে।
মানুষটি নিজগ্রামে তারেক, পুরো নাম হামিদুল হোসেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব দেখানোর স্বীকৃতিসরুপ তাঁর নামের সাথে যোগ হয়েছে একটি গৌরবের গহনা 'রীরবিক্রম'। সরকার তথা জনগণই কৃতজ্ঞ হয়ে তাঁকে পরিয়ে দিয়েছে এই শিরোস্ত্রাণ। পরবর্তীতে এমন হয় যেন স্বৈরাচারী মিলেটারি সরকার পারলে তাঁর ওই সম্মানটুকু কেড়ে নেয়।