প্রথমেই বলে রাখি গল্পটি এমন এক উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে থেমে যাবে, যেখানে পাঠক নিশ্চিতভাবে জানবেন না এরপর কী ঘটবে। যদি গল্পের এই ধরনের সমাপ্তি আপনার অপছন্দের হয়, তবে অনুগ্রহ করে বইটি পড়বেন নাএবং পড়তে গিয়ে শুধুমাত্র এ কারণেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেবেন না। আপনাকে আগেই সাবধান করা হলো। এটি উপন্যাসটি বিভীষিকা ও ভয়াবহ অস্বস্তিকর বাস্তবতা নিয়ে। এখানে রয়েছে স্টকিং (অযাচিত অনুসরণ), অস্পষ্ট বা জবরদস্তিমূলক যৌনতা, প্রকাশ্য সহিংসতা এবং একাধিক যৌন দৃশ্য। লেখিকা খোলাখুলিভাবেই স্বীকার করেছেনতিনি নিজের চরিত্রের প্রতি এতটাই আসক্ত ছিলেন যে তিনি নিজেকে ঘন ঘন এমনভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন। যদি এসব বিষয় আপনাকে মানসিকভাবে অস্বস্তিকর বা ট্রিগারিং মনে হয়, তবে অনুগ্রহ করে এই বই পড়বেন না। তবে এটাই মূল সমস্যা নয়। আসল সত্য হলোএই বই এমন কিছু বিষয়বস্তু নিয়ে, যা ভীষণভাবে অস্বস্তিকর, বিভীষিকাময় এবং বিকৃত। লেখিকার মতে, পাঠককে আগে থেকে সতর্ক না করলে সেটা অন্যায় হবে। আমি কখনোই চাইব না, কোনো পাঠক এই বই পড়ে নিজের নতুন কিংবা পুরোনো ট্রমার মুখোমুখি হোন। তাই, যদি এই সতর্কবার্তার পরও আপনি পড়তে চান, সেটা হবে আপনার নিজের ঝুঁকিতে।
এই বইটি মূলত মানব পাচারের ওপর লেখা, বিশেষ করে শিশু পাচারের।
এছাড়া, এতে সরকারের সঙ্গে জড়িত কিছু ভয়ানক ষড়যন্ত্রের কথাও আছে, যেখানে শিশু উৎসর্গ এবং মানুষ খাওয়ার মতো ভয়ানক কাজের কথা উল্লেখ রয়েছে। আমি বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি, কিন্তু নোংরা বা ভয়ানক সব বিস্তারিত এড়িয়েছি। যারা আমাকে চেনে, তারা জানে আমি বাস্তব সমস্যাকে কখনও মিষ্টি করে দেখাই না। এই বইও তার ব্যতিক্রম নয়। বইটিতে কিছু শিশুর মৃত্যু হয়। এটি প্রধান চরিত্রের কাছ থেকে সরাসরি না হলেও, তিনি তা দেখেন এবং বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি পড়তে চান, তা আপনার নিজের ঝুঁকিতে। তবে, হতে পারে আপনি প্রেমেও পড়বেন। আমি এটাই আশা করব, তাই না?