“ইসলাম, খ্রিস্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের আলোকে ভোট কেনো দেবো কাকে দেবো কিভাবে দেবো?” গ্রন্থটি চারটি প্রধান ধর্মের শিক্ষার আলোকে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার এবং সুশাসন নিয়ে একটি দিকনির্দেশনামূলক রচনা। বইটিতে প্রথমেই দেখানো হয়েছে, ভোট দেওয়া একটি সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব। ইসলাম ভোটকে আমানত হিসেবে ব্যাখ্যা করে, যেখানে যোগ্য, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে নির্বাচন করা ঈমানি দায়িত্ব। অন্যদিকে খ্রিস্টান ধর্মে নাগরিক দায়িত্ব পালনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে—সততা, ন্যায়, মানবপ্রেম ও সেবামূলক মনোভাব সম্পন্ন নেতাকে বেছে নেওয়া খ্রিস্টীয় নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। হিন্দু ধর্মে ধর্ম, ন্যায় ও লোককল্যাণমূলক কাজের প্রতি অঙ্গীকারকে শাসকের প্রধান যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়। জনগণকে সঠিকভাবে সেবা করতে সক্ষম, অহিংসা ও সত্যনিষ্ঠার ধারক নেতাকেই সমর্থন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মে ভোট দেওয়া দয়া, মৈত্রী ও সমবেদনার মূল্যবোধের সঙ্গে যুক্ত। যে নেতা জনগণের দুঃখ লাঘব করবে, অহিংসভাবে শাসন করবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে, তাকেই যোগ্য মনে করা হয়। সব ধর্মের সাধারণ শিক্ষায় দেখা যায়, ভোট ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য দেওয়া উচিত।
বইয়ে বলা হয়েছে, ভোট কেনো দেবো—কারণ এটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের হাতিয়ার। কাকে দেবো—যিনি সৎ, যোগ্য, নীতিনিষ্ঠ, জনসেবক এবং দুর্নীতি থেকে মুক্ত। কিভাবে দেবো—নিরপেক্ষ বিবেক দিয়ে, প্রলোভন ও ভয়ভীতি থেকে মুক্ত থেকে, শুধুমাত্র দেশ ও জনগণের মঙ্গলের জন্য।
Title
ইসলাম, খ্রিস্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের আলোকে ভোট কেনো দেবো কাকে দেবো কিভাবে দেবো ?
নাসীমুল বারী ঢাকার আজিমপুরে জন্ম ৩১ জানুয়ারি ১৯৬৩ সালে। আজিমপুরেই বেড়ে ওঠা। আজিমপুরের 'ওয়েষ্ট এন্ড হাই স্কুলথেকে এসএসসি পাশ ১৯৭৯ সালে। কবি নজরুল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে 'বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর সমাপন। উপমাহাদেশেরে অন্যতম মুদ্রণ বিদ্যাপীঠ ‘গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট থেকে মুদ্রণ প্রযুক্তিতে ডিপ্লোমা।। আজিমপুরে বসবাস এখনও। তবে পৈত্রিক নিবাসটা চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার ডাকাতিয়ার পাড়ে সাদরা গ্রামে। নাসীমুল বারীর প্রথম বই 'অপু রুমুর গল্প'- ছােটদের শিক্ষামূলক গল্পগ্রন্থ'। প্রকাশ পায় ২০০১ সালে 'মুক্তাঙ্গন' থেকে। দ্বিতীয় 'আমার যুদ্ধ আমার স্বাধীনতা'-মুক্তিযুদ্ধের কিশাের উপন্যাস; তিশা বুকস ট্রেড; ২০০৪। তৃতীয় 'ভূতের বাড়ির রহস্য'- কিশাের রহস্যোপন্যাস; মিজান পাবলিশার্স; ২০০৫। চতুর্থ দানবের কবলে ওরা'- কিশাের রহস্যোপন্যাস; বর্ণময় বুকস; ২০০৭। পঞ্চম 'অনুভবে দ্বাদশী'- গল্পগ্রন্থ'; তাম্রলিপি; ২০০৮। ষষ্ঠ 'গল্পটা লেখা হল না'- গল্পগ্রন্থ'; জ্যোত্স পাবলিশার্স; ২০০৯। অষ্টম 'সাহিত্যের শিলালিপি'- প্রবন্ধগ্রন্থ'; শােভা প্রকাশ; ২০১২। নবম 'হঠাৎ দেখা হলাে'- গল্পগ্রন্থ'; পাণ্ডুলিপি প্রকাশ; ডিসেম্বর ২০১৮ | দশম ‘খুঁজে পেয়েছি আমাকে’ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক উপন্যাস; বিশ্বসাহিত্য ভবন; সেপ্টেম্বর ২০১১। ভাষশিক্ষা বিষয়ক পাঠ্যবই 'আমার বাংলা ভাষা শিক্ষা' বইটি যদিও ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রকাশ তবে তালিকায় স্থান দিয়েছেন সপ্তম। প্রকাশ করেছে প্রকাশ নিকেতন। সাতদিনের কাগজ 'সাপ্তাহিক ইত্তেহাদ'-এর ছােটদের পাতা 'জুইচাপা হাস্নাহেনা'র সম্পাদনা সহযােগী ছিলেন নিষিদ্ধ হবার আগ পর্যন্ত, ১৯৮৩-৮৪। প্রাচীনতম জাতীয় পত্রিকা 'দৈনিক আজাদ'এর ছােটদের পাতা 'মুকুলের মাহফিল'এর সম্পাদনা সহযােগী ১৯৮৩ সালের পুরােটা সময়। ভাই-বােন মিলে ছােটদের সাহিত্য পত্রিকা 'ছােটপাতা' সম্পদনা করেছেন ১৯৮২-৮৪ সালে। আবু ছাঈদ মাে: আবদুল্লাহ এবং রায়হানা বেগম-এর জেষ্ঠ্য সন্তান নাসীমুল বারী। রিফাহ রায়হানা ও জাবির আবদুল্লাহ হাইয়ান-এর মাতা রিকতা বেগম আর পিতা নাসীমুল বারী।