যদি কেউ বলে—এত দুর্বল অস্ত্রশস্ত্রহীন দেশের জীর্ণশীর্ণ মোল্লারা কীভাবে সুপার পাওয়ারদের মোকাবিলা করতে পারে? এর উত্তর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষাতেই বলি:
“আল্লাহ নামে আমাদের একজন মাওলা আছেন, তোমাদের সেই মাওলা নেই।”
যারাই ঐ মাওলাকে নিজেদের পক্ষ আনতে পারবে, বিজয় তাদেরই পদচুম্বন করবে।
বইয়ের পরতে পরতে আপনি সেই মাওলাকেই দেখতে পাবেন। দেখবেন, কীভাবে তালেবান মুজাহিদীন সেই মাওলাকে নিজেদের পক্ষে আনতে পেরেছিলেন। বিপদে-আপদে, জয়-পরাজয়ে, শত্রুর সামনে পিছনে সর্বত্র তারা কীভাবে সেই মাওলাকে স্মরণ করতে পেরেছিলেন। আর তাই মাওলাও তাদের স্মরণ করেছেন, মদদ দিয়েছেন, কখনো পরক্ষোভাবে আবার কখনো প্রত্যোক্ষভাবে।
নচেৎ কীভাবে সম্ভব! “জীর্ণশীর্ণ, দুর্বল সেকেলে কাঠ মোল্লাদের” পক্ষে একটা সুপার পাওয়ারকে পর্যদস্ত করা! কীভাবে সম্ভব পুরাতন কিছু রাইফেল নিয়ে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, ভয়ঙ্কর ট্র্যাঙ্ক এবং বিমারু শক্তির মোকাবেলা করার!! কীভাবে সম্ভব সামান্য কিছু সরঞ্জামাদি নিয়ে দীর্ঘ বিশ বছর বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে টিকে থাকার!!! এই সব প্রশ্নের উত্তর ঐ এক বাক্যেই পাওয়া যাবে।
বইটি গতানুগতিক কোনো কল্পকাহিনী বা উপন্যাস নয়, নয় ইতিহাসের রঙচঙে রঞ্জিত কোনো উপাখ্যান। এটি আফগান ভূমিতে আমেরিকা ও ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা একজন মুজাহিদের ঈমানদীপ্ত দাস্তান। এখানে পাঠক পাবেন রণকৌশলের সূক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তা, সমর যুদ্ধের বাস্তব অভিজ্ঞতা। এখানে মুজাহিদদের দেখা যাবে—কীভাবে তারা শত্রুর কঠোর আঘাতের মাঝেও মাওলাকে স্মরণ করেন, শত দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মাওলার দেওয়া হুকুম পালনে অবিচল থাকেন। এখানে জানা যাবে, কীভাবে জীর্ণশীর্ণ মুজাহিদীন সামান্য কিছু কাঠের সাহায্যে একটি ট্যাঙ্ককে ধ্বংস করতে সক্ষম হন, কীভাবে পুরাতন অস্ত্র দিয়ে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত বাহিনীকে পরাস্ত করেন এবং কীভাবে সংখ্যায় অল্প হয়েও বিশাল বাহিনীকে পর্যদস্ত করেন।