নতুন কারিকুলাম ও সৃজনশীল প্রশ্ন কাঠামো অনুযায়ী প্রণীত এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ হতে ইসলাম শিক্ষা প্রথম পত্র: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ।
আল কুরআন আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ কিতাব। মানব জাতির হিদায়াতের জন্য এটি নাজিল করা হয়েছে। রাসুল (স.)-এর নবুয়ত প্রাপ্তির পর হতে দীর্ঘ তেইশ বছরে খণ্ড খণ্ডভাবে এটি নাজিল হয়। প্রথমে স্মৃতিতে, পরে লিখিতভাবে একে সংরক্ষণ ও সংকলন করা হয়। আল কুরআনে পরিবেশিত সকল তথ্য যথার্থ, নির্ভরযোগ্য ও মানবজাতির জন্য চির কল্যাণকর। বর্তমান পৃথিবী ও অনাগত ভবিষ্যতের জন্য এটি নির্ভরযোগ্য জ্ঞানের উৎস। আল কুরআন শেষ নবির উপর অবতীর্ণ চূড়ান্ত আসমানি গ্রন্থ। এ গ্রন্থটি পূর্ববর্তী সকল গ্রন্থের পূর্ণতা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। রাসুল (স.) কে বলা হয়েছে, 'হে রাসুল আপনি বলুন, হে মানুষ। আমি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুল হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।' আল কুরআন দ্বারা রাসুল (স.) মানুষকে ভালো কাজের জন্য সুসংবাদ ও খারাপ কাজের জন্য ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। এ সকল বক্তব্য প্রমাণ করে পবিত্র কুরআন আল্লাহর বাণী। যা কিয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির সকল সমস্যার সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ও সুচিন্তিত সমাধান প্রদান করবে। এর বিধানাবলি এতই বৈজ্ঞানিক যে, এটিই চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ, কিয়ামত অবধি আর কোনো ঐশী গ্রন্থের প্রয়োজন হবে না। আল কুরআনের বহুমুখী গুণাবলিই প্রমাণ করে এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ভরযোগ্য চূড়ান্ত প্রত্যাদেশ।