টাকাপয়সা পরিচালনার সম্বন্ধে প্রভুত পড়াশোনা করে জ্ঞানলাভ করলেই যে বিভিন্ন খাতে টাকাপয়সা বিনিয়োগ ও লগ্নি করে সুফল পাওয়া যাবে বা যথাযথ উপায়ে টাকাপয়সা খরচ করে শেষ পর্যন্ত আপনি লাভবান হবেনই, তা কিন্তু সত্যি নয়। এই বিষয়ে ব্যবহারিক জ্ঞান সভর্তই অন্য কাউকে শেখানো কঠিন। এমনকী সত্যিকারের চটপটে ও বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা যে এই পদ্ধতি শেখার চেষ্টা করে সবসময় যে সফল হন, তাও নয়।
কীভাবে টাকাপয়সা পরিচালনা করতে গিয়ে বিনিয়োগ করতে হয় এবং ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেই পদ্ধতিতে সাধারণত বহুবিধ ডেটা এবং ফরমালা বিজড়িত গাণিতিক গণনার দরকার বলে মনে করা হয়। বাস্তব জগতে, লোকেরা কিন্তু স্প্রেডশীটে গণনা করে আথির্ক সিদ্ধান্ত নেন না। সাধারণত রাতেরবেলা খাবারের টেবিলে বা মিটিং রুমে বসে বিনিয়োগকারীরা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন, যেখানে ব্যক্তিগত ইতিহাস, বিশ্বের নানা বিষয়ে আপনার অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি, অহঙ্কার, গর্ব, বিপণন ব্যবস্থা এবং অবস্থা প্রতিকূল উদ্যোগগুলিও একত্রিত হয়ে মিলেমিশে বিনিয়োগকারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পন্থাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
'টাকাকড়ির মনস্তত্ত্ব' বা দ্য সাইকোলজি অফ মানি বইটিতে, লেখক ১১টি ছোটো কাহিনী পরিবেশন করেছেন যাতে লোকেরা অর্থ সম্পর্কিত বহুবিধ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক চিন্তাভাবনা করে এমনসব বিচিত্র উপায় খুঁজে নেন এবং আপনাকে শেখান যে কীভাবে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে অর্থ-সম্পদের মতো একটির জমা-খরচের ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর উপায়ে করা যায়।
মর্গ্যান হাউসেল হলেন 'কোলাবোরেটিভ ফান্ড'-এর একজন অংশীদার এবং 'দ্য মোটলে ফুল ও 'দা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর একজন প্রাক্তন কলামনিস্ট। তিনি 'সোসাইটি অফ আমেরিকান বিজনেস এডিটরস অ্যান্ড রাইটারস' থেকে দুইবার 'বেস্ট ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার জিতেছেন, নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর সিডনি অ্যাওয়ার্ড নামক পুরষ্কার পেয়েছেন এবং ব্যবসা ও আর্থিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বিশিষ্ট তার জন্য 'জেরাল্ড লোয়েব অ্যাওয়ার্ড' নামক পুরস্কার পাওয়ার জন্য দুইবার চূড়ান্ত পর্বের বাছাইয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।
Morgan Housel is a partner at The Collaborative Fund. He is a two-time winner of the Best in Business Award from the Society of American Business Editors and Writers, winner of the New York Times Sidney Award, and a two-time finalist for the Gerald Loeb Award for Distinguished Business and Financial Journalism. He lives in Seattle with his wife and two kids.