মটর: মটর গরিব মানুষের মাংস অথবা রেস্টুরেন্টের সস্তার সাইড ডিস নয় যা আপনার প্লেটে ‘সবুজ’ যোগ করে! মটর শুধুমাত্রা খাবারে স্বাদই যোগ করে না বরং বিভিন্ন পদ ও স্যালাডে ব্যবহার করা হয়। মটর আসলে পুষ্টির ছোটোখাটো ভাণ্ডার এবং স্বাস্থ্যের ওপর আশীর্বাদস্বরূপ। এই স্টার্চি সবজি এনার্জি, প্রোটিন, অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি বৈশিষ্ট্যযুক্ত। মটরকে অন্যতম পছন্দের সবজির হিসেবে যোগ করলে অনেক উপকারিতা বাড়ে। একবার দেখে নেওয়া যাক।

পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

1. মটরের মধ্যে অধিক পরিমাণ কৌমেস্ট্রল নামক পলিফেনল থাকে। একটা গবেষণা অনুসারে এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট প্রতিদিন ২ মিলিগ্রাম খেলে সেটা পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং এটা এক কাপ মটরের মধ্যে কমপক্ষে ১০ মিলিগ্রাম মতন থাকে। অতএব, দেখুন এটা কতটা স্বাস্থ্যকর!

ওজন বজায় রাখে

1. এক কাপ মটরের মধ্যে ১০০ ক্যালোরির থেকেও কম থাকলেও পর্যাপ্ত প্রোটিন, ফাইবার ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। এগুলো অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে এবং ওজন বজায় রাখে।

মটর আয়রন দেয়

1. আয়রন যা আমরা খাই সেটা হিমোগ্লোবিনে পাওয়া যায়, এটা হল সেই প্রোটিন যা সারা শরীরে অক্সিজেন বহন করে নিয়ে যাবার জন্য দায়ী। আয়রনের অপরিমিত গ্রহণ অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয় যার ফলে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি, মনোনিবেশ করবার ক্ষমতা কমে যায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ১/২ কাপ মটরের মধ্যে ১.২ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে যা আয়রনের অভাব মেটায়।

রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে

1. সব কার্বোহাইড্রেট প্রাকৃতিক শর্করা ও স্টার্চ এবং এর মধ্যে দুশ্চিন্তা করার মতন কোন সাদা শর্করা অথবা রাসায়নিক থাকে না। অধিক ফাইবার ও প্রোটিন শর্করার হজমের গতি কমিয়ে দেয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি বৈশিষ্ট্য ইনসুলিন রেজিটেন্স (টাইপ ২ ডায়াবেটিস) প্রতিরোধ করে।

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে

1. ক্রনিক অতিরিক্ত অক্সিডেটিভ চাপ-ধকল ও জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে রক্তবাহী নালির দেওয়াল বরাবর প্লেকে তৈরি হওয়া শুরু হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি উপাদান সুস্থ রক্তবাহী নালিকে সহায়তা করে। অপ্রতুল ভিটামিন বি১ ও ফোলেট। বি২, বি৩ ও বি৬ হোমোসাইটেইনের মাত্রা কমায় যা হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ।