বাংলাদেশি নাগরিক। জন্ম ১৯৭৫ সালে। পৈতৃক বাড়ি সিলেট। বাবা মরহুম মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী এবং মা ফারেহা ইসলাম চৌধুরীর পাঁচ সন্তানের মধ্যে মাবরুর মাহমুদ তৃতীয়। বর্তমানে সৌদি আরবে একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। পেশাগত কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন সামজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত আছেন। বাংলাদেশের প্রথম ভার্চুয়্যাল থিঙ্কট্যাঙ্ক “আইডিয়াস ফর ডেভলপমেন্ট (আইএফডি)” (www.ideasfd.org) প্রতিষ্ঠা করেন ২০০৯ সালে।
গবেষণার পাশাপাশি তিনি দুটি ফেসবুকভিত্তিক ক্যাম্পেইন United Against Alcohol (UAA) এবং United for Peace (UFP) এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি “বিনিয়োগ সাথী” নামক যাকাত ভিত্তিক একটি নতুন প্রজন্মের ইসলামিক ব্যাংকিং মডেলের প্রবর্তক। নতুন এই উদ্ভাবনের জন্য তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিংয়ে প্রথম শ্রেণিতে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেন যথাক্রমে ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালে। দুটি পরীক্ষাতে মেধা তালিকায় তার অবস্থান ছিল যথাক্রমে চতুর্থ এবং পঞ্চম।
পাশ করার পরই ক্যারিয়ার হিসাবে নেন গবেষণা। পরবর্তীতে ফিন্যান্সে মাস্টার্স করতে পাড়ি জমান আমেরিকাতে। সেখানকার অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অফ ম্যারিল্যান্ড - কলেজ পার্ক থেকে কৃতিত্বের সাথে মাস্টার অফ সাইন্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন ২০০২ সালে।
পড়া শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে আসেন ২০০৩ এর শেষের দিকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময় থেকে পত্রিকায় লেখালেখি শুরু হলেও তার লেখক সত্ত্বার পূর্ণ বিকাশ ঘটে মূলত সাপ্তাহিক “যায়যায়দিন” পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৪-২০০৬ সময়কালে সাপ্তাহিক “যায়যায়দিন” পত্রিকায় অর্থনীতি, রাজনীতি, নিরাপত্তা এবং নীতিহীনতা নিয়ে তার একাধিক আর্টিকেল প্রকাশিত হয়।
২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর আমন্ত্রিত লেখক হিসাবে তার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক নিবন্ধ জাতীয় দৈনিক Financial Express এর Special Anniversary Supplement এ প্রকাশিত হচ্ছে। কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে তার প্রকাশিত মডেলের কারণে জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে তার একাধিক গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে।
তার স্ত্রী জিনাত মুনজালা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন। তাদের চার সন্তান। সবচেয়ে বড় মেয়ে মাহদিয়া আমিরা একজন উঠতি লেখিকা। তার লেখা ছোটগল্পের বই Evergreen সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বৃটেন ভিত্তিক এক প্রকাশনী থেকে। তার দুই ছেলে মাহের আনাস এবং মুয়াজ আরহান বর্তমানে স্কুলের শিক্ষার্থী এবং ছোট মেয়ে মায়রা আরিহার বয়স দেড় বছর।
লেখালেখি মাবরুর মাহমুদের নেশা এবং প্যাশন। তিনি ফেইসবুকে খুবই সক্রিয় এবং নিয়মিত জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি পোস্ট দিয়ে থাকেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি অবসর সময়ে ডকুমেন্টারি ফিল্ম দেখেন, ইন্টারনেটে সংবাদপত্র পড়েন এবং পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করেন।
