সৈয়দ আরব আলী একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যাংকার, স্বাস্থ্য সচেতন গবেষক এবং ইয়োগা বিষয়ে আগ্রহী লেখক। তিনি ১৯৬৮ সালের ২৩শে নভেম্বর নড়াইল জেলার নালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত সৈয়দ মাহ্মুদ আলী ও মাতা মৃত মোসাম্মাৎ রাবেয়া খানম। তিনি ১৯৯৭ সালে ন্যাশনাল ব্যাংকে ‘প্রবেশনারি অফিসার’ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং বর্তমানে ব্যাংকটির ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ পদে কর্মরত আছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই তার শরীরচর্চা ও যোগব্যায়ামের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল। ইন্ডিয়ান যোগশাস্ত্রভিত্তিক একটি প্রাচীন বই দিয়ে শুরু হয় তার অনুশীলন। ভোরে হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো এবং মিরপুর স্টেডিয়ামে ইয়োগা অনুশীলনের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে তার এই আগ্রহ গবেষণার পরিসরে পৌঁছে যায়। তিনি ঢাকার বিভিন্ন ইয়োগা সেন্টারে গিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ইউটিউব ও গুগলের সহায়তায় এই প্রাচীন শাস্ত্রের বিভিন্ন দিক গভীরভাবে অনুধাবন করেন।
এই অভিজ্ঞতার ফলস্বরূপ তিনি রচনা করেছেন একটি সহজবোধ্য ইয়োগা সংকলনগ্রন্থ—"ইয়োগা", যেখানে প্রাণায়ামসহ বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির অনুশীলনসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে। বইটিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে বাবা রামদেবের ইয়োগা দর্শনের প্রভাব। ভাষা, গঠন ও প্রমিত বানানের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামের ইয়োগা গুরু মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ এবং সাহিত্যদেশ প্রকাশনার মানোন্নয়ন সম্পাদক মোবারক সালমান। বইটির সার্বিক প্রস্তুতিতে সহকর্মী ফাতেমা আক্তারের অবদান লেখক কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেছেন।
সৈয়দ আরব আলীর লক্ষ্য—“সুস্থ দেহ, প্রশান্ত মন, কর্মব্যস্ত সুখী জীবন”—এই ভাবনাকে ভিত্তি করেই তার লেখালেখি ও অনুশীলন। 'ইয়োগা' বইটি প্রমাণ করে, একজন পেশাদার ব্যাংকারও একান্ত সাধনায় হয়ে উঠতে পারেন স্বাস্থ্য-সচেতন জীবনচর্চার পথপ্রদর্শক। তার এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে সাধারণ পাঠকের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ও সহজ পথনির্দেশ হয়ে উঠেছে।