ইয়ংসুক চে’র জন্ম কোরিয়ায়। শিশুকালেই তিনি আঁকাআঁকি শুরু করেন। ছোটবেলায় দাদি-নানির কাছে গল্প শুনে শুনে বড় হয়েছেন। চিত্রকলা নিয়ে পড়াশোনার জন্য চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। এখন বসবাস করছেন সেখানেই। রেস্তোরাঁয় কাজ করা, ফ্লাইট অ্যাটেনন্ডেন্ট এবং কৃত্রিম নখে নকশা করার মতো নানা পেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি। ইয়ংসুক চে তাঁর অবকাশ ও অবসরে নিজের এলাকার শিশুদের সঙ্গে বসে বসে ছবি আঁকেন। তিনি স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্র, হিমালয়ের পাহাড়ি গ্রাম, চীনে থাকা উত্তর কোরিয়ার শরণার্থীকেন্দ্র, ক্যাম্বোডিয়ার অনাথ আশ্রম, আরবের মরুভূমিতে থাকা বেদুইন সম্প্রদায়ের শিশুদের সঙ্গে ছবি এঁকে সময় কাটিয়েছেন। তিনি এই শিশুদেরই তাঁর জীবনের বড় শিক্ষক বলে মনে করেন। শিশুদের জন্য ‘নামের বৈয়ম’সহ বেশকিছু বই লিখেছেন তিনি। সেসব বইয়ের অলঙ্করণ ও ছবি এঁকেছেন তিনি নিজেই। ইংরেজিতে লেখা তাঁর এই বইটি নিউইয়র্ক টাইমস আউটস্ট্যান্ডিং বুক অব দ্য ইয়ার, আমেরিকান লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশন নোটেবল বুক, ইন্টারন্যাশনাল লিটারারি অ্যাসোসিয়েশন’স চিলড্রেন’স বুক অ্যাওয়ার্ডসহ নানা স্বীকৃতি ও প্রশংসা পেয়েছে। বইটি ভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির শিশুদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও সম্প্রীতির বোধ জাগিয়ে তোলার জন্য খুবই উপযোগী।