কাজী আবুল মারুফ লেখালেখি শুরু করেন ১৯৯৪ ইং সালে। প্রযুক্তি বিষয়ক জাতীয় ম্যাগাজিন মান্থলি কমপিউটার্স এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স-এ অনুবাদক হিসাবে কাজের প্রস্তাব পান প্রকৌশলী বাল্যবন্ধুর কাছ থেকে। সেখানে কাজ করেছেন 1994-1997 সাল পর্যন্ত। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এবং এলএলবি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি বেসরকারি শিল্প-কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।
ছোটবেলা থেকেই তিনি স্ব-উদ্যোগে প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে শিক্ষক ও পরিচিতদের প্রায়শই চমকে দিতেন। বৈদ্যুতিক সার্কিট সম্পর্কিত নিজস্ব ও গবেষণালব্ধ প্রায়োগিক জ্ঞান তাঁকে অন্য সহপাঠী থেকে আলাদা হিসেবে স্থান দিয়েছিল। শৈশব থেকেই আধুনিক বিজ্ঞানের ছোটখাট নানা ধরনের আবিস্কার তাঁকে আত্মমগ্নতা আর গবেষণার প্রতি মনোযোগী করে তুলেছিল। গবেষণার প্রতি এই মনোযোগ পরবর্তীতে তাঁর লেখালেখির সাথে সম্মীলন ঘটায়। ফলে প্রযুক্তিগত সৌখিন গবেষণা রূপান্তরিত হয়ে গুরুগম্ভীর তাত্ত্বিক গবেষণায় পরিণত হয়।
তাঁর প্রথম প্রকাশিত বইটি (২০২১) প্রাগ্রসর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে রচিত ইংরেজি ব্যাকরণ বিষয়ক দ্য ম্যানুয়াল অফ ইংলিশ গ্রামার । ২০২২ ও ২০২৩ সালে দুটি সাহিত্য সংকলনে মনোচিকিৎসা বিষয়ক ইংরেজি প্রবন্ধের বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয় । ২০২৪ একুশে বইমেলায় ওসিপিডি নামে মনোচিকিৎসা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিরল ঘরানার উপন্যাস প্রকাশিত হয় । একুশে বইমেলা ২০২৫-এ মার্কিন শীর্ষ মনস্তাত্তি্ক লেখক উইলিয়াম কুপারের বিশ্বখ্যাত গ্রন্থ ডার্ক সাইকোলজি, সিক্রেটস-এর বাংলা অনুবাদ অন্ধকার মনস্তত্ত্ব, গোপন জ্ঞান নামে প্রকাশিত হয় এবং ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে। এ কারণে প্রকাশকের বিশেষ অনুরোধে পরবর্তী চার মাস পরেই ডার্ক সাইকোলজি সিরিজের দ্বিতীয় বই ডার্ক সাইকোলজি এন্ড ম্যানিপুলেশন-এর অনুবাদ “অন্ধকার মনস্তত্ত্ব এবং বশীকরণ” যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত হয়। ব্যাপক পাঠক চাহিদার কারণে এই সিরিজের তৃতীয় বই সাইকোলজি এন্ড সিডাকশন-এর বঙ্গানুবাদ “অন্ধকার মনস্তত্ত্ব এবং প্রলোভন” প্রকাশিত হবে ২০২৬ সালে।
প্রিয় পাঠক-পাঠিকাদের মনোবিকাশের জন্য নিজ গবেষণা সংক্রান্ত প্রকাশনার কাজে তিনি নিরলসভাবে মেধাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।"