লম্বা করিডোরের শেষ মাথায় এসে হঠাৎ থমকে দাঁড়াল সাগর। স্কুলে
আজকের মতো ক্লাশ শেষ। ছেলে মেয়েদেরকে পাঠদানের পাশাপাশি এত
দিনে স্কুলটির সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে ফেলেছে। বেশ প্রাচীন এই স্কুল।
এক দানশীল ব্যক্তির উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে দালান। তারপর ধীরে ধীরে
তা আরও বিস্তৃতি লাভ করেছে। বেশ কয়েক বিঘা আয়তনের এই জমির উঁচু
ঢিবির ওপর একতলার মূল ভবন দাঁড়িয়ে রয়েছে। পাশাপাশি আরও গোটা
তিনেক টিনের চালের শ্রেণিকক্ষ শিমূলতলি গ্রামের মাঝ বরাবর ছড়িয়ে
আছে। ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের রাস্তাটা স্কুলের গাঁ ঘেঁষে চলে গেছে। সেই কবে
ব্রিটিশ আমলে তৈরি রাস্তা। এখনো তার মাপজোক নিয়ে ঝুটঝামেলা লেগেই
আছে। দিন দিন রাস্তার পরিধি ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। করিডোরের প্রান্তে
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সাগর মনে মনে ভাবে। আহা, কী হতো যদি এই স্কুলে ও
না আসতো!