হলে থাকাটা শিরীর জন্য খুবই নতুন কিছু। ভর্তির পরের এই তিনমাস প্রতিদিনই ভার্সিটিতে শাটল ট্রেনে আসা যাওয়া করেছে। চট্টগ্রাম শহরেই বাসা। এখন হলের সিটটাই লাগাতার তাঁর অনুপস্থিতির কারণে যাই যাই করছে। কিন্তু আরশীর সাথে এক রুমে দুই বান্ধবীর থাকার সুযোগটা শিরী কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে রাজি নয়, চলে এসেছে তাই ক'দিন থাকবে বলে। আর আসা অব্দি তার আনন্দের সীমা পরিসীমা নেই। উপচে উপচে পড়ছে তার দিক-বিদিক জ্ঞানহারা আনন্দ। চারদিকের যেদিকেই চোখ যায় তাই তার বড় মধুময় লাগছে।br
পাহাড় ঘেরা ঘন শ্যামল ছায়ায় কী সুন্দর এই চট্টগ্রাম ভার্সিটি! কাশবন, ঝাউবন, রাধাচূড়া আর কৃষ্ণচূড়ায় ছাওয়াছাওয়ির এই পটভূমিতে রাতে ঘুমাতে যেতে বা গভীর রাতে জেগে উঠে খোলা জানালা দিয়ে বনভূমির ঘ্রান নিতে আহা কী যে ভালো লাগে তার। মনে হয় বাতাসেও বুঝি রং ধরেছে সবজ রং।