আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
স্কুলভ্যানটা বাসার সামনে থামতেই লাফ দিয়ে নামল মুনিয়া। সদরগেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ল দৌড়ে। তারপর বলতে গেলে লাফিয়ে লাফিয়ে সিঁড়ি টপকে উঠে এল চারতলায়। তড়িঘড়ি ডোরবেল বাজাল। মেয়ের স্কুল থেকে ফেরার প্রতীক্ষায় মা-তো ভেতরে প্রস্তুতই ছিলেন, খুলে দিলেন দরজা। ফিক্ করে হেসে দিয়ে স্কুল ব্যাগটা প্রথমে ধরিয়ে দিল মায়ের হাতে। তারপর মায়ের আঁচলের তলা দিয়ে ফুডুৎ করে রুমের ভেতরে ঢুকে পড়ল মুনিয়া। মা একটু হাসলেন। পাগলি মেয়ে! স্কুলে বসেও ভাবে পোষা ময়না পাখিটার কথা।br সুযোগ পেলেই মোবাইলে কথা বলতে চায় ময়নাপাখিটার সঙ্গে। মা বা গৃহকর্মী মহিলাকে মোবাইল সেট ধরতে হয় ময়নাটির মুখ আর কানের কাছে। লাউড স্পীকারে দু'জনের কথা শুনে মা ও বৃদ্ধা গৃহকর্মী, কী যে মজা পায়! তবুও স্কুল থেকে ফিরে প্রথমেই দৌড়ে যাবে ময়নাপাখির কাছে। ময়নাটা যেন জীবন ওর। জীবনের বন্ধু।
মুনিয়া এক দৌড়ে চলে এল পেছনের বারান্দায়, চিৎকার দিল, 'ময়না! ময়না! আমার ময়না সোনা!'br
কিন্তু রোজকার মতো আজ আর সাড়া দিল না ময়নাটা। মুনিয়ার ডাক শুনলেই ময়নাটা খুশিভরা গদগদ কণ্ঠে জবাব দেয় সব সময়, 'ময়না! ময়না! আমার ময়না সোনা! মুনিয়া! মুনিয়া! সোনার মুনিয়া!' আবারো চেঁচালো মুনিয়া। সাড়া নেই। খাঁচার দিকে ভালো করে তাকাতেই শূন্য খাঁচা দেখে কেঁপে গেল মুনিয়ার বুক।