13 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
TK. 300TK. 210 You Save TK. 90 (30%)
In Stock (only 1 copy left)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
Related Products
Product Specification & Summary
জ্যাঠামশায়দের রান্নাঘরে খেতে বসেছিলাম আমি আর দাদা। ছোট কাকিমা ডাল দিয়ে গেলেন, একটু পরে কি একটা চচ্চড়িও নিয়ে এলেন। শুধু তাই দিয়ে খেয়ে আমরা দু'জনে ভাত প্রায় শেষ করে এনেছি এমন সময় ছোট কাকিমা আবার এলেন। দাদা হঠাৎ জিজ্ঞেস করলে-কাকিমা, আজ মাছ ছিল যে, মাছ কই?
আমি অবাক হয়ে দাদার মুখের দিকে চাইলাম, লজ্জা ও অস্বস্তিতে আমার মুখ রাঙা হয়ে উঠল। দাদা যেন কি! এমন বোকা ছেলে যদি কখনো দেখে থাকি! আমার অনুমানই ঠিক হল, কাকিমা একটু অপ্রতিভের সুরে বললেন-মাছ যা ছিল, আগেই উঠে গেছে বাবা, ওই দিয়ে খেয়ে নাও। আর একটু ডাল নিয়ে আসবো?br
দাদার মুখ দেখে বুঝলাম, দাদা যেন হতাশ হয়েচে। মাছ খাবার আশা করেছিল, তাই না পেয়ে। মনটায় আমার কষ্ট হল। দাদা দেখেও দেখে না, বুঝেও বুঝে না-দেখছে এখানে আমরা কি অবস্থায় চোরের মতো আছি, পরের বাড়ি, তাদের হাত-তোলা দু-মুঠো ভাতে কটি ভাইবোন কোনোরকমে দিন কাটিয়ে যাচ্চি, এখানে আমাদের না আছে জোর, না আছে কোনো দাবি- তবুও দাদার চৈতন্য হয় না, সে আশা করে বসে থাকে যে এই বাড়ির অন্যান্য ছেলেদের মতো সেও যত্ন পাবে, খাবার সময়ে ভাগের মাছ পাবে, বাটি-ভরা দুধ পাবে, মিষ্টি পাবে। তা পায়ও না, না পেয়ে আবার হতাশ হয়ে পড়ে, আশাভঙ্গের দৃষ্টিতে এদিক-ওদিক চায়- এতে আমার ভারি কষ্ট হয়, অথচ দাদাকেও আসল অবস্থাটা খুলে বলতে পারিনে তাতেও কষ্ট হয়।