আমাদের এ কোরানাভিধান আত্মদর্শনভিত্তিক। তাই এর নামকরণ 'কোরানের দার্শনিক অভিধান'। কোরানের শব্দগুলোর আত্মদর্শনভিত্তিক কোনও পূর্ণাঙ্গ বাংলা অভিধান না থাকায় এমন একটি অভিধানের প্রয়োজনবোধ করে আসছি দীর্ঘকাল ধরে। প্রচলিত আরবী অভিধানভিত্তিক যে বইগুলো বাজারে চালু আছে সবই স্ববিরোধী। বলা যায় সমস্তই আত্মঘাতী এবং সত্যদ্রোহী। কারণ সবই মধ্যযুগীয় রাজা বাদশাদের মিথ্যা আরোপ ও অসদাচারের বদপ্রভাবে মতিচ্ছন্ন এবং চরমভাবে বিভ্রান্ত। কোরান বাইরের ভাষা দিয়ে খোঁজার নয় 'নাজেল হওয়া'র মাধ্যমে অন্তরাত্মায় অনুভবের বিষয়।
'কোরান নাজেল হওয়া' কথাটি সর্বকালীন এবং সার্বজনীন একটি বিষয়। সাধকের কাছে তাঁর আত্মদর্শনের পূর্ণাঙ্গ যে পাঠ তার ভেতর থেকে যা নাজেল হয় বা বের হয় তাকেই বলা হয়েছে কোরান। পূর্ণাঙ্গ সাধকের আত্মদর্শনের অভিব্যক্তিকে কোরান বলে। আরবী কোরান এদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। কোরানই মানুষের জন্য একমাত্র হেদায়েত। এটা সাধকের 'রমজান মাস' ব্যতীত অর্থাৎ শিরিক পরিত্যক্ত কাল ছাড়া অন্য সময় নাজেল হয় না।