Category:পশ্চিমবঙ্গের উপন্যাস
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
অক্সফোর্ড স্ট্রিটে কিছু কেনাকাটা করে রাস্তা পার হয়ে বন্ড স্ট্রিট টিউব স্টেশনে ঢুকতে গিয়েই মুখোমুখি দেখা। দুজনেই প্রায় একসঙ্গে বললাম, 'আপনি ?
দেবব্রত হাসতে হাসতে বললো, 'আমি তো বহুদিনই এখানে। আপনি কবে এলেন?'
‘প্রায় দু’সপ্তাহ হতে চললো। এবার তো ফেরার পালা ।
‘সে কি? এত তাড়াতাড়ি কোথায় যাবেন?’
‘ফেরার পথে কয়েক জায়গায় স্টপওভার করব বলে পরশুই রওনা হচ্ছি।'
অজস্র যাত্রী আসা-যাওয়া করছেন। দেবব্রত আমার হাত ধরে একটু পাশে সরে গিয়ে বললো, ‘পরশু যাওয়া হচ্ছে না।'
‘একটু আগেই রিজার্ভেশন করে এলাম।’
'দ্যাটস নাথিং। ক্যানসেল করে দিলেই হবে।' তারপর হাসতে হাসতে বললো, ‘এতকাল পরে দেখা হলো আর আমার হাতের রান্না না খাইয়েই ছাড়ব ?”
আমি বললাম, ‘খেলে রঞ্জনার হাতের রান্নাই খাব।'
‘রঞ্জনা তো এখানে আসেনি। ও দিল্লীতেই...'
'তাই নাকি ?”
'হ্যাঁ।'
আমার হাতে টুকিটাকি কয়েকটা প্যাকেট। তাছাড়া বন্ড স্ট্রিট-টিউব স্টেশনে দাঁড়িয়ে কথা বলাও অসম্ভব। দেবব্রত জিজ্ঞাসা করল, ‘কোথায় যাচ্ছেন?”
‘হোটেলে।’
‘কোন হোটেলে? সেই স্ট্রান্ড...'
'হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন।' সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘হোটেলে আসবেন ? ” ‘আপনি থাকবেন?'
‘থাকব। আজ আর কোথাও বেরুচ্ছি না । '
দেবব্রত হাসতে হাসতে জিজ্ঞাসা করল, “সেকি? লন্ডনে এসে সন্ধেবেলা হোটেলে শুয়ে কাটাবেন ?
“কি করব? কদিন এত পরিশ্রম করতে হয়েছে যে আজ আর একটু রেস্ট না নিয়ে পারছি না।'
Report incorrect information