Category:পশ্চিমবঙ্গের বই: উপন্যাস
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
বইটি বিদেশি সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে।
আমার নাম সব্যসাচী। সব্যসাচী চৌধুরী। তবে সেই ছেলেবেলায় শান্তিনিকেতন পাঠভবনে ভর্তি হবার দু'এক মাস পরই একদিন আমাদের ক্লাস নেবার সময় কি কারণে যেন স্বপনদা হঠাৎ হাসতে হাসতে আমাকে বললেন, তুই কবে দু'হাতে বাণ ছুঁড়ে সব্যসাচী হবি, তা তো জানি না ; তাই আমি তোকে অর্জুন বলেই ডাকব।
ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ক্লাসের সব ছেলেমেয়েরা হাততালি দিয়ে চিৎকার করে উঠল, অর্জুন! অর্জুন!
তখন কি আমি জানি, দু'হাতে বাণ ছুঁড়তে পারতেন বলেই অর্জুনের নাম হয়েছিল সব্যসাচী!
তারপর ধীরে ধীরে একদিন শান্তিনিকেতনের সর্বত্র সবার কাছে আমি অর্জুন হয়ে গেলাম। সব্যসাচী চৌধুরী বন্দী রইল শুধু পাঠভবন-সঙ্গীত ভবনের খাতাপত্তরে।
এমন কি বাবা-মা পর্যন্ত ওখানে গিয়ে ছেলেমেয়েদের বলতেন, অর্জুনকে একটু ডেকে দাও তো।
সঙ্গে সঙ্গে সংহিতা বা সঙ্গীতা দৌড়ে এসে আমাকে বলতো, এই অর্জুন, তোর মা এসেছেন। দৌড়ে বাইরে যা!
আরো কত মজার ঘটনা ঘটেছে। পাঠভবনে আমার সঙ্গেই পাঁচ বছর পড়ার পর মন্দিরাও সঙ্গীত ভবনে ভর্তি হল । আমাদের ক্লাশের বাকি সব ছেলেমেয়েই এসেছিল বাইরে থেকে। তাই খুব স্বাভাবিক কারণেই অন্য ছাত্রছাত্রীদের চাইতে মন্দিরার সঙ্গেই আমি বেশি গল্পগুজব ঘোরাঘুরি করতাম। বিকেলে দু'জনেই একসঙ্গে ঘোষদার দোকানে যেতাম। আড্ডা দিতাম। আবার কোন কোনদিন মাঝ পথেই স্বপনদা আমাদের পাকড়াও করে ধরে নিয়ে যেতেন জয়দেবদার দোকানে। তারপর দোকানের সামনের বেঞ্চিতে বসেই পার্স থেকে দশ টাকার একটা নোট বের করে জয়দেবদার হাতে দিয়ে বলতেন, হ্যাঁরে, কিছু খাবার-দাবার আনতে দে। এই দুটো শিশুকে কিছু খেতে না দিলে ওরা কী আর কোনদিন আমার সঙ্গে তোর দোকানে আসবে ?
Report incorrect information