Category:পশ্চিমবঙ্গের উপন্যাস
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
বইটি বিদেশি সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে।
কী বললেন? ইনি কি সেই বিখ্যাত গাইনি....
হ্যাঁ।
ডাঃ চৌধুরী মারা গিয়েছেন? আত্মহত্যা করেছেন ?
বেনেপুকুর থানার বড়োবাবু এক নিঃশ্বাসেই বলে যান, আমি এখুনি আসছি। দেখবেন, কেউ যেন ওঁর ঘরে না যায়। প্লিজ, কেউ যেন ওঁর বডি বা রিভলবার টাচ্না করেন।
হ্যাঁ, বড়োবাবু এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে একজন সাবইন্সপেক্টর আর তিনজন কনস্টেবলকে নিয়ে জিপে রওনা দেন ডাঃ চৌধুরীর বাড়ি।
হাজার হোক কলকাতার বিখ্যাত গাইনি। তাইতো এরই মধ্যে খবরটা আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ-সাতজন বিখ্যাত ডাক্তার আর ডাঃ চৌধুরীর কয়েকজন বিশিষ্ট ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু এসে হাজির হয়েছেন। বাড়ির সামনেও বেশ ভিড় জমেছে।
বড়োবাবু জিপ থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে পা দিতে দিতেই কনস্টেবলদের দিকে এক ঝলক তাকিয়েই বললেন, লোকজন সরিয়ে দিন ; আর বাড়ির মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেবেন না ।
প্রায় লাফাতে লাফাতেই উনি দোতলায় উঠে যান। ওর ঠিক পিছন পিছন সাব- ইন্সপেক্টর।
সিঁড়ির সামনেই বেশ কয়েকজনকে গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই বড়োবাবু জিজ্ঞেস করেন, কোন ঘরে ?
এইতো এই ঘরে।
দু' একজন বড়োবাবুর পিছন পিছন ঘরের দিকে পা বাড়াতেই সাব-ইন্সপেক্টর বললেন, প্লিজ, কেউ ভিতরে আসবেন না ।
বিরাট খাটের উপর পড়ে আছে ডাঃ সুধাকর চৌধুরীর প্রাণহীন দেহ। ডান হাতের পাশেই পড়ে আছে রিভলবার। বালিশ-বিছানা রক্তে ভেসে গেছে।
বেশ কয়েক মিনিট দেহটার দিকে তাকিয়ে থাকার পর বড়োবাবু ঘরের চারদিকে দৃষ্টিটা ঘুরিয়ে নেন।
Report incorrect information