Category:পশ্চিম বঙ্গের বই: ভ্রমণ ও প্রবাস
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
বইটি বিদেশি সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে।
রাজা নেই তবু রাজার দেশ রাজস্থান। রাজস্থানীরা যে চিরকালের রাজপুত— রাজপুত্র। রাজত্ব গিয়েছে কিন্তু যায়নি তাঁদের রাজকীয় আভিজাত্য আর উদারতা, সাহস ও সহিষ্ণুতা। তাঁদের দেশপ্রেম এবং ধর্মাচরণ আজও সারা ভারতের আদর্শ হয়ে উঠতে পারে।
আমি তাঁদের দেখেছি। দেখেছি হিমালয়ের দুর্গম তীর্থপথের বাঁকে বাঁকে। দেখেছি নাসিক প্রয়াগ আর হরিদ্বারে, বারাণসী গয়া ও গঙ্গাসাগরে। ভারতের অন্য কোন রাজ্যের অধিবাসীরা এত দুঃখ-কষ্ট সয়ে তীর্থদর্শন করেন বলে জানা নেই আমার। আমি তাই তীর্থময় ভারতের বিভিন্ন মন্দিরদ্বারে দাঁড়িয়ে সশ্রদ্ধ দৃষ্টিতে রাজস্থানীদের দেখেছি।
কিন্তু আমি কখনও দেখি নি রাজস্থান। আমি দেখি নি আরাবল্লীর দুর্ভেদ্য গিরি-প্রাচীর। দেখি নি অম্বরের রাজপ্রাসাদ অথবা চিতোরের বিজয়স্তম্ভ, আজমীরের দরগা কিংবা দিলওয়ারার মন্দির, পুষ্করের জল ও হলদিঘাটের মাটি।
তাই তো আমার এই রেলযাত্রা — রাজভূমি-রাজস্থানের নগরে নগরে পথ-পরিক্রমা।
কিন্তু সে পরিক্রমার কাহিনী শুরু করার সময় হয় নি এখনো। সবে তো আগ্রাফোর্ট স্টেশন থেকে আমাদের গাড়ি ছাড়ল। শেষ রাতে পৌঁছব জয়পুর। আগামীকাল সকালে সেখানে থেকেই শুরু হবে আমাদের রাজস্থান পরিক্রমা। কাজেই রাজভূমি-রাজস্থানের কথা এখন থাক। তার চেয়ে এইমাত্র আগ্রাফোর্ট স্টেশনে আমার জীবন-নাট্যের যে অন্তিম দৃশ্যটি অভিনীত হয়ে গেল, সেটির কথা বলা যাক্।
বলা বাহুল্য সে দৃশ্যের নায়িকা মানসী—আমার ‘মানালীর মালঞ্চে', 'লীলাভূমি-লাহুল’ এবং ‘মধু-বৃন্দাবনে’–র মানসী। যার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় মানালীতে, দ্বিতীয় দেখা বৃন্দাবনে আর তৃতীয় বিদায় এই রাজভূমি রাজস্থান পরিক্রমার পূর্বক্ষণে ।
কিন্তু মানসীর কথা বলতে হলে যে নিজের কিছু কথাও বলে নিতে হবে—আমার এই যাত্রার কথা। কলকাতার পর্যটন সংস্থা ‘কুণ্ডু স্পেশাল' ‘রিজার্ভড রেলওয়ে কোচ্’-এ এই যাত্রার আয়োজন করেছেন। চারদিন আগে হাওড়া থেকে রওনা হয়ে দিল্লী ঘুরে পরশু রাতে আমরা মথুরা এসেছি। গতকাল ও আজ আমাদের মথুরা-বৃন্দাবন এবং আগ্রা দর্শনের জন্য নির্দিষ্ট ছিল।
Report incorrect information