Category:পশ্চিম বঙ্গের বই: ভ্রমণ ও প্রবাস
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
আজই শেষদিন! শেষ হচ্ছে বই ও পণ্যে ৭০% পর্যন্ত ছাড়! বছরের সেরা ডিল, রকমারি ক্লিয়ারেন্স সেল, ২০২৫
দেবাসুরের সংগ্রাম আজও চলেছে।
সেকালের মতো একালেও দুষ্ট-দেবতারা মেহনতি-অসুরদের অমৃতের অংশ দিচ্ছেন না। মোহিনী-মায়ায় ভুলিয়ে তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছেন। তাই সংগ্রাম চলেছে। এ সংগ্রাম বঞ্চক ও বঞ্চিতের, শোষক ও শোষিতের। এ সংগ্রাম চিরকাল চলবে।
কিন্তু চিরকালের কথা থাক। আমি ভাবছি সেকালের কথা। ভাবছি সমুদ্রমন্থনের কথা, অমৃতকুম্ভের কথা।
দেবরাজ ইন্দ্রের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে নারায়ণ লক্ষ্মীদেবীকে সিন্ধুকন্যা রূপে জন্মগ্রহণ করতে আদেশ দিলেন। তারপরে তিনি পিতামহ ব্রহ্মাকে বললেন— দেবতাদের বলুন, তারা অসুরদের সঙ্গে সমুদ্রমন্থন করুক। মন্থন শেষে সমুদ্র থেকে লক্ষ্মী ও ধন্বন্তরি উঠে আসবেন। দেববৈদ্য ধন্বন্তরি অমৃতকুম্ভ নিয়ে উপস্থিত হবেন।
ব্রহ্মার কাছে বিষ্ণুর নির্দেশ শুনে দেবতারা সবাই গোলকে এসে হাজির হলেন। নারায়ণ তাঁদের বললেন— তোমরা অসুরদের সঙ্গে নিয়ে সমুদ্রমন্থন শুরু ক’রো। মন্থনকালে অনেক ওষধি ও রত্ন পাবে। কিন্তু তাতে লুব্ধ হয়ে যেন আবার মহুন বন্ধ করে দিও না! ধৈর্য সহকারে মন্থন চালিয়ে যেও। তাহলেই তোমরা অমৃত এবং লক্ষ্মীলাভ করতে পারবে।
দেবরাজ ইন্দ্র অসুরদের সমুদ্রমন্থনের আমন্ত্রণ জানালেন। প্রতিশ্রুতি দিলেন, মন্থনের সম্পদ সমানভাবে ভাগ করে নেবেন। অসুরগণ দেবতাদের সাহায্য করতে সম্মত হলেন।
সমুদ্রমন্থনের আয়োজন সম্পূর্ণ হলো। মন্দার পর্বত হলো মন্থনদণ্ড। বিষ্ণুর দ্বিতীয় অবতার কূর্মরাজ মন্দারকে ধারণ করতে সম্মত হলেন। নাগরাজ বাসুকি হলেন মন্থনরজ্জু। দেবতারা তাড়াতাড়ি গিয়ে বাসুকির পেছন দিক ধরলেন। অসুরদের থাকতে হলো সামনে। শুরু হলো সমুদ্রমন্থন ।
Report incorrect information